বৈরী আবহাওয়া
আবারও সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে ৩ শতাধিক পর্যটক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল আবারও বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপটিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছে তিন শতাধিক পর্যটক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।
তবে দ্বীপে আটকা পড়া তিন শতাধিক পর্যটকের যাতে কোন ধরণের অসুবিধা না হয় তা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে উপকূলের নৌযান সমূহকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
বুধবার সকালেও কক্সবাজার সাগর উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত থাকলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকবে। এ কারণে সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও বলেন, ‘চলতি মৌসুমে গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিবন্ধকতা যাছাই করতে পরীক্ষণমূলকভাবে এমভি বারো আউলিয়া নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজ চলাচল শুরু হয়। মূলত সাতদিনের জন্য আপাতত জাহাজটি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ৭ দিনে জাহাজটি চলাচলে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়নি। তাই চলতি মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতি না থাকলে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে কোন বাধা নেই। এ কারণে পরীক্ষণমূলক চলাচলের অনুমতি পাওয়া এমভি বারো আউলিয়া ওই নৌরুটে নিয়মিত চলাচল করবে।’
তবে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের সাপেক্ষে চলতি মৌসুমে ওই জাহাজটিসহ অন্যগুলোকেও চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানান মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।
ইউএনও বলেন, মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ থেকে এমভি বারো আউলিয়া জাহাজটি করে সেন্টমার্টিনে তিন শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান। দুপুরের পর থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি টেকনাফ ফিরে এলেও আগের দিনগুলোতে রাত্রিযাপনের জন দ্বীপে অবস্থান নেওয়া ৩ শতাধিক পর্যটক ফিরেননি।
আদনান চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে রাত্রিযাপনের জন্য অবস্থান করা তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। আর আটকা পর্যটকদের যাতে কোন ধরণের অসুবিধা না হয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা হয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও।
এর আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত শনি ও রোববার দুইদিন এই নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সেন্টমার্টিন ভ্রমনে যাওয়া দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছিলেন। সোমবার এসব পর্যটক ফিরলেও আবারও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ হল।