শেরপুরের নকলা উপজেলার নকলা পৌরসভার কলাপাড়া এলাকার মো. রবিউল হক (১২) পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত (হিফজুল কুরআন) প্রতিযোগিতায় জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে রৌপ্য পদক বিজয়ী হয়েছে।
রবিউল হক কলাপাড়া এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেন ও মোছা. রহিমা বেগমের ছেলে। সে কলাপাড়া নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
রবিউল পবিত্র কুরআনের পাঁচ পারা গ্রুপের তেলাওয়াতের প্রতিযোগী হিসেবে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আগত তিন শতাধিক প্রতিযোগীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পাঁচ পারা গ্রুপের কুরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত হয়। শেরপুর সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ এলাকাস্থ মাদরাসাতুল হুফফাজ-এর মিলনায়তনে সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন জেলার সনামধন্য কুরআনে হাফেজ ক্বারী মাওলানাগন।
কলাপাড়া নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মুহতামিম আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান জানান, মো. রবিউল হক পবিত্র কুরআনের ১৩ পারা মুখস্থ করেছে। সে বর্তমানে ১৪ পারা পড়তেছে।
রবিউলের ওস্তাদ হাফেজ ইমামম হোসেন জানান, রবিউল খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী। সে গত বছর (২০২২ খ্রি.) কলাপাড়া নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় হিফজ বিভাগে ভর্তি হয় বলে তিনি জানান।
মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. শহিদুল আলম বলেন- আমাদের মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রবিউল হক পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতে জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছে, এটা শুনেই আনন্দে মনটা ভরে গেছে। তার জন্য প্রাণ খোলে দোয়া করছি, সে যেন আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।
হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানাটির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন- মাদ্রাসার হুজুরদের কাছে শুনেছি রবিউল নাকি খুবই মেধাবী। তাকে সঠিক ভাবে দেখভাল করলে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতে ভবিষ্যতে সে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের সুনাম অর্জন করতে পারবে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস।
মো. রবিউল হক-এর উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন রবিউলের বাবা-মাসহ মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও তার শিক্ষকগন।