ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না কৃষক
যমুনায় ফের বাড়ছে পানি, ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে ফসল
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি ফের ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টানা ভারি বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নি¤œাঞ্চলে রোপনকৃত ধানের চারা, শাক-সবজিসহ আবাদি ফসলের জমি এবং পুকুরও তলিয়ে গেছে। এরআগে চলতি বর্ষা মৌসুমে কয়েক দফায় পানি কম-বেশি হয়ে দুই সপ্তাহ যাবত একটানা কমতে ছিল। ক্রমান্বয়ে নদীর পানি কমতে থাকায় কৃষকরা নতুন করে ধান ও রবি ফসল রোপন শুরু করেছিল। কিন্তু একটানা ভারি বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রোপণকৃত জমি ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা সমূহ ক্ষতির আশঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইল পাউবো সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৬ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার ও নিউ ধলেশ^রী নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সূত্রমতে, জেলার বংশাই নদীর পানি মির্জাপুর পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিন্টার ও মধুপুর পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার এবং কাউলজানি পয়েন্টে ৯৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার, ফটিকজানি নদীর পানি নলছোপা পয়েন্টে ৭৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুর উপজেলার কৃষক মো. রাশেদ আলী, হযরত মোল্লা ও আনোয়ার হোসেন জানান, আগের বন্যার পানি কমে যাওয়ায় তারা নতুন করে জমিতে ধানের চারা রোপন করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ টানা দু’দিনের ভারি বৃষ্টিতে রোপণকৃত ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। শাক-সবজির ক্ষেতসহ অনেকের পুকুরও তলিয়ে গেছে। এ বছর তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না।
টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নূরুল আমিন জানান, কয়েক সপ্তাহ আগেও যমুনা ও জেলার ছোটবড় সকল নদীর পানি কমে যায়। কয়েকদিন যাবৎ আবারও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও একই সাথে দু’দিন ধরে টানা বর্ষণ হচ্ছে। তবে, তিনি ধারণা করছেন এবার বড় ধরণের বন্যার সম্ভাবনা নেই। আরও কিছুদিন যমুনা ও জেলার অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।