জাতীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দিবস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে নকলা ইউএনও’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪-এর ৮ ধারা অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন ও কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এটাকে আরও ইফেক্টিভ তথা ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৬ অক্টোবর তারিখ-কে “জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস”-এর পরিবর্তে “জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস” হিসেবে উদযাপন এবং দিবসটিকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ৬ অক্টোবর শুক্রবার ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
দিবসটিকে জাতীয় ভাবে পালন করায় সর্বসাধারণ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে আরও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তবে এবছর ৬ অক্টোবর শুক্রবার তথা সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজমান রয়েছে। তাছাড়া টানা অতিবৃষ্টিতে উপজেলা চরঅষ্টধর, চন্দ্রকোনা, পাঠাকাটা, উরফা ও গনপদ্দী ইউনিয়নের নদ-নদ ও খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এমনকি উপজেলার অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার সব আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অগণিত পুকুরের মাছ। তাই শুক্রবারের জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের অনুষ্ঠান সমূহে সর্বসাধারনের উপস্থিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখাদেয়। এমতাবস্থায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পর্কে জনগনকে সর্বাধিক অবহিত করার লক্ষ্যে তথা জনস্বার্থে ৬ অক্টোবর শুক্রবারের পরিবর্তে সোমবার ৯ অক্টোবর সকালে সব শ্রেণিপেশার জনগনের অংশগ্রহনে র্যালি ও আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন। যা একান্তই ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করছেন সুশীলজন।
তবে পূর্ব ঘোষিত তারিখের ভিত্তিতে উপজেলার সুশীলজন ও নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিকগন ৬ অক্টোবর শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে হাজির হলে তাদেরকে নিয়ে অঘোষিত মতবিনিময় সভা করেন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন। ওই সভায় জনস্বার্থে ঘোষিত ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি ৬ অক্টোবর শুক্রবার ছুটির দিনের পরিবর্তে ৯ অক্টোবর সোমবার সকালে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান। ইউএনও বলেন- যেহেতু দিবসটি সম্পূর্ণ জনস্বার্থে করার লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সেহেতু আমি চাই এই দিবস সম্পর্কে উপজেলার সব পেশাশ্রেণির জনগন ভালোভাবে বিস্তারিত জানুক। তাই এমন উদ্যোগ নেওয়া হলো। তিনি আরো বলেন সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে, যা আমাদের এসডিজির একটা লক্ষ্যমাত্রা। আর এই সিদ্ধান্তটি গত ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এঁর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আলতাব আলী, ভীমগঞ্জ কলেজের প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা-গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসাইন, নকলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর হোসেন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমিন, সদস্য রেজাউল হাসান সাফিত ও সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।