ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কাজ শেষ না করেই বিল তুলে লাপাত্তা ঠিকাদার

কাজ শেষ না করেই বিল তুলে লাপাত্তা ঠিকাদার

জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি অর্থায়নে জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদারকে পুরো বিল পরিশোধ করেছে উপজেলা এলজিইডি অফিস। আর বিল তুলেই লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। যেকারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের টেমার গ্রামের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে গ্রামীণ জনপদের ব্রিজ নির্মাণ, মেরামত ও উন্নয়ন (বিজিপি) প্রকল্পের আওতায় টেমার গ্রামে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহবান করা হয়। টেন্ডারটি মের্সাস লাকি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজ করেন গৈলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম চাঁন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্রিজের কাজ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। কিন্তু ঠিকাদার ব্রিজ নির্মাণ করলেও দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করায় ব্রিজটি কোন কাজেই আসছেনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টেমার-সেরাল খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের কাজ শেষ হলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পুরো বিল উত্তালন করে নিয়ে গেছে ঠিকাদার। কিন্তু অদ্যবর্ধি নির্মিত ব্রিজের দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ব্রিজটি এলাকাবাসীর এখন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টেমার গ্রামের বাসিন্দা আনিচ সন্যামত বলেন, ঠিকাদার ব্রিজের কাজ শেষ করলেও দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করায় ব্রিজটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার পুরো বিল তুলে নিয়েছেন। ফলে কাজ থমকে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পরেছে এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম চাঁন বলেন, আমাকে উপজেলা প্রকৌশলী কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। কারণ এখন বর্ষায় কাজ করলে রাস্তা ভেঙে পরতে পারে। তবে কাজ শেষ হওয়ার আগেই পুরো বিল তুলে নিয়েছেন বলে তিনি (ঠিকাদার) স্বীকার করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, অবশিষ্ট কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঠিকাদার,লাপাত্তা,বিল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত