সাতক্ষীরায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সে। তাকে ভারতে পাচার করা হয়েছে বলে তার বাবা সাংবাদিকেদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীর বাবা সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার ০১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়া এলাকার মজিজুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ সাদিয়া আফরিন মুন্নি শহরের টাউন গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল পাঁচটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে আর ফিরে আসেনি সে। গত কয়েকদিন যাবত পরিবারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করা হলেও এখন পর্যন্ত কোথাও তার কোন সন্ধান মেলেনি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার পরনে সাদা-কালো রঙের সালোয়ার কামিজ ছিলো। নিখোঁজ মুন্নির গায়ের রং ফর্সা, মুখমণ্ডল গেলাকার এবং উচ্চতা চার ফুট পাঁচ ইঞ্চি।
নিখোঁজ সাদিয়া আফরিন মুন্নির বাবা মজিজুল ইসলাম জানান, তানিশা নামের একটি মেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে তার মেয়েকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফেনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। তিনি আরো জানান, খোরশেদ, আনার ও মহসিন নামের তিন যুবক প্রায়ই মুন্নির সাথে ফোনে কথা বলতো। তিনি এ সময় তার মেয়েকে ওই চক্রটি ভারতে পাচার করেছে বলে সাংবাদিকদের সাথে অভিযোগ করেন। বিষয়টি তিনি থানা পুলিশকে জানালে সদর থানার এএসআই ফিরোজ এ ঘটনায় তানিশা ও খোরশেদকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর স্থাণীয় কাউন্সিলর হিমেল, মুন্নির খোঁজে সহযোগিতা করবে এই শর্তে তার জিম্মায় ওই দুজনকে ছাড়িয়ে নেন। মুন্নির বাবা মজিজুল এ সময় তার মেয়েকে ফেরত পেতে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সদর থানার এএসআই ফিরোজ জানান, খোরশেদ ও তানিশা এ ঘটনায় জড়িত নয়। তারা বরং মুন্নির খোঁজে পুলিশের সহযোগিতা করেছে। তিনি আরো জানান, মুন্নির সাথে একটি ছেলের ভালো বাসার সম্পর্ক ছিলো। সেই ছেলে তাকে ভারতে নিয়ে গেছে। বর্তমানে ভারতের একটি শেল্টারহোমে মুন্নি রয়েছে। এ তথ্য পুলিশ বের করেছে। তিনি আরো জানান, সেখানে মুন্নির বাবা মা বা তাদের অভিভাবক গেলে তাদের হাতে তারা তাকে ফিরিয়ে দেবেন বলে তাদের জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য স্থাণীয় (১নং) ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিমেলের কাছে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিখোঁজ মুন্নির বাবা মজিজুল ইসলাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।