অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে: পরিকল্পনা মন্ত্রী

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ

  সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। আমি কেন সরকার প্রধান নিজেও বলেছেন।  আমরা সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছি। প্রধান সমস্যা হল মূদ্রাস্ফীতি। জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে এটা কমানোর চেষ্টা করছি।  আমরা যাদের কাছে দায়বদ্ধ নিম্ন আয়ের মানুষ  তাদের জন্য যাতে স্বস্তির পর্যায়ে দাম আনা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছি বিভিন্ন কৌশলে।  ইতোমধ্যে সামান্য কিছু সাফল্য এসেছে এবং দুই শুন্য শতাংশ কমেছে আরও কমবে। 

শনিবার (৭ অক্টোবর)  দুপুরে মন্ত্রীর নিজ বাস ভবন আরফান আলী মুন্সি হল মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দেয়ার পূর্বে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ মেট্রো রেল চায়,  এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চায়,পদ্মা সেতু আরও চায়।  সাধারণ মানুষ উন্নয়ন চায় আর সেই উন্নয়ন করতে পারে আওয়ামী লীগ সেটা মানুষ বুঝে গেছে।  তাই মানুষকে ভুল বুঝিয়ে লাভ নেই। 

রিজার্ভ নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের তিন মাস আমদানি আনার মতও সংস্থান আছে। এ ব্যাপারে পন্ডিত আই এম এফ ঢাকায় ঘুরাঘুরি করছে। তারা বলছে কি ভাবে কি করতে হবে। আমরা যে ভাবে অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যাই ঠিক একই ভাবে অর্থনীতিতে পন্ডিতদের পরামর্শ নিয়েই আমরা কাজ করছি। তার বলছে কি ভাবে কি কাজ করতে হবে। 

সুনামগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জে রেল লাইন আনা হবে। সুনামগঞ্জের গোবিন্দগঞ্জ থেকে ধারণ বাজার,  জাওয়া বাজার হয়ে আসবে। আমার প্রয়োজনে না।  মানুষের প্রয়োজনে আনতে হবে।  এখান থেকে নেত্রকোনা পর্যন্ত রেল লাইন যাবে। আমি যদি আবার আমার যায়গায় আসতে পারি টুরিস্টদের জন্য এবং আমাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজনে আমাদের লোকজন চলাচলের জন্য   ছোট রানওয়ে করতে চাই। যাতে তারা টাগুয়ায় আসতে পারেন। এটা এতো বড় পরিসরে ঢাকা বা চিটাগাং এর মত হবে হবে না। ছোট পরিসরে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইবও হাত পাত এটি করে দেয়ার জন্য। 

আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সাথে মহাজোট হবে কি না এমন প্রশ্নর জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী।  মহাজোট হবে কি তা দলের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  এ ছাড়া দলের প্রেসেডিয়াম কমিটি,  কেন্দ্রীয় কমিটি, সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। তারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমরা সেই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য।  সবাই যেটা মানবেন আমিও মানবো। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার এহসান শাহ প্রমুখ।