মেঘনায় ট্রলারডুবি
মেঘনা নদী থেকে মায়ের মরদেহ উদ্ধার, খোঁজ মেলেনি দুই মেয়ের
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নিখোঁজ সুমনা আক্তারের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলা রমজান বেগ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিআইডব্লিউটি-এর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম জানান, সুমনা গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি এলাকার মফিজুলের স্ত্রী।
দুর্ঘটনা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তার দুই মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা (৩) ও জান্নাতুল মাওয়াসহ (৭) পাঁচজন। অপর তিনজন হলো- মারোয়া আক্তার (৯), সাব্বির (৪০) ও তার ছেলে ইমাদ (৭)। সাব্বির ও ইমাদের বাড়ি রংপুরে।এদিকে শনিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে নব পুলিশ কোড গার্ড এবং বিআইডব্লিউটি-এর সংশ্লিষ্টরা।
রাতে নদীতে না নামতে পারলেও সকাল থেকে নদীর তলদেশে তল্লাশি চালাচ্ছে ডুবরি দল। তবে নদীর তলদেশ গভীর ও যত্রতত্র ড্রেজিংয়ের কারণে বেগ পেতে হচ্ছে তল্লাশি কার্যক্রম। কোস্টগার্ডের ডুবরি মো. অপু শেখ বলেন, ড্রেজিংয়ের কারণে কোথাও কোথাও গভীর খাদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের উদ্ধার তৎপরতায় বেগ পেতে হচ্ছে।ঘাতক বাল্কহেডটি এখনো আটক করা যায়নি। বিআইডবিøউটিএর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় রাত ১২টার দিকে অভিযান বন্ধ করা হয়। শনিবার সকাল ৬টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চলছে। সকালের দিকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ছুটির দিনে স্বজনরা মিলে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জে ট্রলারযোগে ঘুরতে যায় ১২জন আত্মীয়। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে আধারে অবৈধভাবে চলা বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় চালকসহ ১৩ যাত্রী।