এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পুর্ব শত্রুতার জেরে কক্সবাজারের পেকুয়ায় জয়নাল হত্যা মামলার আসামি আবু ছৈয়দ (৪০) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তাঁর পা কেটে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে।
মঙলবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আবু ছৈয়দ একই এলাকার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে। অন্য আহতেরা হলেন, আবু ছৈয়দের স্ত্রী বুলবুল আক্তার (৩৪), তাঁর সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) খোকন (৪০), একই এলাকার আবদুল মজিদের স্ত্রী শাকিলা (৩৩) ও ছেলে এনাম (১৭)।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আবু ছৈয়দকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পথিমধ্যে মারা যায় আবু ছৈয়দ।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, আফজালিয়া পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন ও কামাল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন জনু।
আবু ছৈয়দের শ্বাশুড়ি মোবারেকা বেগম বলেন, আবু ছৈয়দ চিংড়ি ঘের থেকে দুপুরে খাবার খেতে তাঁর বাড়িতে আসে। সে আমার বাড়িতে আসার খবর পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পাশের আলী আকবরের বাড়িতে অবস্থান নেয়। বিকেলের দিকে বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। এসময় মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আলী আকবর, আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে নেজাম উদ্দিন, নুর মুহাম্মদের ছেলে ইউনুস, আনিস, মৃত নুরুন্নবীর ছেলে আনসার, ছোটন, আমির হোসেন, শাহাব উদ্দিন, শাহাব উদ্দিনের ছেলে তৈয়ব, ছিদ্দিক আহমদের ছেলে আরকান, কামাল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন ওরফে জনু, আনোয়ার হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন ওরফে সোনা মিয়াসহ ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে সে খাটের নিচে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে হাত-পা চেপে ধরে কুপিয়ে ডান পা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে। এসময় কাটা পা নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২০২১ সালের ২ মে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মগনামায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী জয়নাল আআবেদীনকে। এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩নং আসামী ছিলেন আবু ছৈয়দ। জয়নাল হত্যা মামলায় জেল কেটে ছয়মাস আগে জামিনে বের হন আবু ছৈয়দ। জয়নাল হত্যার জেরেই আবু ছৈয়দকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।