সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে বিয়ের প্রস্তাব। আর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ভিডিও প্রেরণকারি যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এসময় যুবকের কাছ থেকে সেই পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ডিককুল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মো. আবিরুল ইসলাম প্রকাশ আলম (২২) ঝিলংজা ইউনিয়নের ০২ ওয়ার্ডস্থ দক্ষিণ ডিককুল এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি দক্ষিণ ডিককুল জাফর আলমের জায়গায় শাহ মজিদিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আবিরুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর শুরু হয় কথাবার্তা, দু’জনের মধ্যে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। তারপর বিয়ের প্রস্তাব দেয় মেয়েকে। কিন্তু এক পর্যায়ে মেয়েটি রাজি না হলে সময়ে-অসময়ে বিরক্ত করতে থাকে। এরপর মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে অভিমান করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যার হুমকি প্রদান করে মেয়েটিকে ভিডিও প্রেরণ করে।
মো. মিজানুর রহমান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। আর তদন্ত করে প্রযুক্তির সাহায্যে আটক করা হয় আবিরুল ইসলামকে। পরে তার দেখানো স্থান থেকে উদ্ধার হয় বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও ৪ রাউন্ড গুলি। বিদেশি পিস্তল ও গুলি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কাইছার হামিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেদকের হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, মো. আবিরুল ইসলামের হাতে রয়েছে বিদেশি পিস্তল। এই পিস্তল থেকে বের করা হচ্ছে ম্যাগাজিন। আর ম্যাগাজিন থেকে বের করা হচ্ছে গুলি এবং আবারো ম্যাগাজিনে গুলি ভরে তা পিস্তলে ঢুকানো হয়। যার ভিডিও নিজেই ধারণ করেন আবিরুল।