ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধানের শৈল্পিক কারুকাজে নির্মাণ

১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধানের শৈল্পিক কারুকাজে নির্মাণ

শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ দুর্গোৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ দেবী দুর্গার প্রতিমা। দিনরাত পরিশ্রম করে রঙ-তুলির আর হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি করছে প্রতিমা।

সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর সদরের মুরারীকাটি উত্তর পালপাড়ায় এবার ১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধানের শৈল্পিক কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে ১৮টি প্রতিমা। পুঁতির মতো একটা একটা করে চিনিগুঁড়া ধান দিয়ে গেঁথে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমার অবয়ব।

আয়োজকেরা জানান, পুরো জেলায় এই প্রতিমার কথা ছড়িয়ে পড়েছে। শত শত মানুষ এবার এখানে প্রতিমা দেখতে আসবেন। পূজা শুরুর এখনও কয়েক দিন বাকি থাকলেও এই প্রতিমা দেখতে মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। যেন উৎসবের আগেই উৎসবের আমেজ।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিমাগুলো মনে হচ্ছে সোনা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। পুঁথির মতো একটা একটা করে ধান দিয়ে গেঁথে তৈরি করা হয়েছে এ প্রতিমা, যা অপরূপ সৌন্দর্য বর্ধন করেছে। প্রতিমা তৈরির কারিগর শিল্পী প্রহ্লাদ বিশ্বাস জানান, ১৮টি প্রতিমা পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি করতে একমাস সময় লেগেছে। এই মণ্ডপে দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুরসহ আনুষঙ্গিক ১৮টি প্রতিমা তৈরির জন্য কাঠ, বাঁশ, পাট, নকশী কাপড়ের পাড়, বিচুলির ফ্রেম বা কাঠামো, মাটি ও বিশেষ শৈল্পিক কারুকাজ হিসেবে ব্যয়বহুল চিনিগুঁড়া ধান ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু অংশে রঙ স্প্রে করা হয়েছে। যার কারণে প্রতিমাগুলোর সৌন্দর্য বর্ধিত হয়েছে।

মুরারীকাটি পালপাড়া পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি জীবন কুমার ঘোষ ও কমিটির সদস্য, শিক্ষক প্রদীপ পাল জানান, প্রতি বছর ভিন্ন আঙিকে তৈরি করা হয় এ পূজা মণ্ডপের প্রতিমাগুলো। এ বছর প্রায় ১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধান ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরি শেষ হয়েছে কয়েক দিন আগে। এরইমধ্যে ধানের প্রতিমা দেখতে ভিড় করছেন অনেকে।

তারা আরও বলেন, ‘এবার যুব কমিটির আয়োজনে ১ লাখ টাকার মতো খরচ করে ধানের প্রতিমা নির্মাণ হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অচেনা মানুষের ভিড়ে মুখর হচ্ছে পূজামণ্ডপ। পূজা শুরু হলে যে সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকরা আছে, তা দিয়ে শৃঙ্খলা কতটুকু রক্ষা করা যাবে তাতে সন্দেহ আছে। তাই প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই।’

মুরারীকাটি পালপাড়া পূজামণ্ডপে আসা অঞ্জলি পাল জানান, পালপাড়ায় ৪০টি সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার বসবাস করে। এবার এ দুর্গাপূজা উদযাপনে এত সুন্দর প্রতিমা তৈরি করেছে যুব কমিটি, এটা সত্যিই প্রশংসার।

সাতক্ষীরা জেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ জানান, কলারোয়ার মুরারীকাটির পালপাড়ার চিনিগুঁড়া ধানের তৈরি প্রতিমার ভিন্নতা রয়েছে। উৎসব শান্তিপূর্ণ করতে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় ৬০৬টি মণ্ডপে পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী মনিরুজ্জামান জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠুভাবে উদ্‌যাপন করা হয়, এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে আনসার, গ্রাম পুলিশ ও পুলিশের একাধিক দল টহলে থাকবে। #

নির্মাণ,কারুকাজ,শৈল্পিক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত