তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছেন। প্রতিটি গ্রামে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিংড়া কলন ইউনিয়নে তুরস্কে সরকারের নির্মিত বালিয়াবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ রুপান্তিত করার জন্য কাজ করছেন। আমাদের সন্তানদের স্মাট বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য। আজকে ২০ লাখ ছেলে-মেয়ে মাদ্রসার লেখাপড়া করছে। সে মাদ্রসা বোর্ড বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আমাদের সিংড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে যে উন্নয়ন করেছেন যা গত বছরেও তা হয়নি। শুধু তাই নয় গত ১৪ বছরে সিংড়ায় যত রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, স্কুল কলেজ মাদ্রসার উন্নয়ন হয়েছে। বিগত কোনো সরকার করতে পারেনি। সিংড়ায় ৩৩ শর্য্যায় হাসপাতাল ছিল। মাত্র একটা অ্যাম্বুলেন্স ছিল। গত ১৪ বছরে আমরা ৫০ শর্য্যায় হাসপাতালে উন্নতিকরণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী অত্যাধুনিক তিনটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন।
সিংড়ায় ১২ ইউনিয়নের ৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। শত শত তরুণ-তরুণীদের চাকরি হয়েছে।
পলক বলেন, মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৮ সালে প্রতিটি গ্রামের ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নিমার্ণে চিন্তা করেন। এবং ২০০১ সালে ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করলেন। সেখানে মানুষদের জন্য ২৭ রকমের ঔষুধের ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে আমাদের দুভাগ্য আমরা ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। ফলে ১০ হাজার ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হলো।
পলক আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রায় দিয়েছেন। তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তুরস্কে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভূমিকম্পে ধনী-গরীব লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। তুরস্কে ১০ হাজার তাবু নিয়ে আমাদের মেডিকেল টিম, সেনাবাহিনী, পুলিশবাহিনী নিয়ে সে দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। ১০ হাজির তাবুতে এক লাখ গৃহহীন মানুষ আশ্রায় নিয়েছিলেন। তুরস্কে প্রতি বছর বাংলাদেশের দুইটি করে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক দিয়ে থাকেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ মশিউর রহমান, তুরস্কের হেলথ কর্মকর্তাবৃন্দ।