ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া সুলতানা রাত্রীর ছাত্রলীগ নেত্রীর আপত্তিকর ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। এর আগে প্রেম ঘটিত ঘটনায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নেত্রী আলোচিত হন। এ ঘটনার পর কিছু সাংগঠনিক কর্মসূচীতে তাকে অনুপস্থিত দেখা যায়।
গত কিছুদিন ধরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এসব স্ট্যাটাসে দেখা গেছে, “ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক আবু সুফিয়ানের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় অন্তরঙ্গ মুহুর্তে ওই নেত্রী। অপর ছবিতে বিবস্ত্র হয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে ভিডিওকলে কথোপকথন। আরেকটি ছবিতে অপর ব্যক্তির সাথে আয়েশি ভঙ্গীতে সিগারেট টানার দৃশ্য। এসব স্ট্যাটাসে তার বিরুদ্ধে ছাত্র রাজনীতির সাইনবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে কলগার্ল হিসেবে অসংখ্য বয়ফ্রেন্ড ও নানান লোকের বাসায় গিয়ে দেহ ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। শুধু তাই নয়, দুইশতাধিক বয়ফ্রেন্ডক এমনকি শহরের টাকাওয়ালাদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়।”
অনেকেই তাকে তীব্রভাবে আক্রমণ করে নানা অশোভন উক্তি করা হয়।
তবে ভাইরাল হওয়া এসব ছবি প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ খুললেন ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া সুলতানা রাত্রি। শুক্রবার তার ফেসবুকে লিখেছেন, “কিছু ফেইক আইডি থেকে আমাকে নিয়ে যা চলছে তা নিয়ে কথা বলার ইচ্ছা না থাকলেও অনেকে বলার কারনে আমার বক্তব্য ক্লিয়ার করছি। প্রযুক্তির ব্যবহারে কিছু কিছু সময় মানুষকে ভয়ংকর হয়রানির স্বীকার হতে হয়, যা ইতিমধ্যেই অনেকের সাথে হয়ে আসছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর মাধ্যমে কাজটি নিখুঁত ভাবে বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অবশ্য তার এ স্ট্যাটাসের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। তার শুভাকাঙ্খী ও স্বজনরা তার সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। এবং বিষয়টি সম্পূর্ণই পরিকল্পিতভাবে তারা উল্লেখ করেন। অপরদিকে সমালোচনাও করেছেন অনেকে।
জাহিন কনক নামের একজন লিখেছেন, “লজ্জা শরম উঠে গেলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর দোহাই দেয়া স্বাভাবিক। এ দেশের সবাইরে পাগল ভাবাও স্বাভাবিক। শুনলাম সানি লিওনও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে।”
তার স্ট্যাটাসের কমেন্টসে আবদুল্লা আল মামুন লিখেছেন, “নেতার ছবিও কি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে তৈরি করা”।
ফেনী কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক জিল্লুর রহমান লিখেছেন, “ফেনী সরকারি কলেজকে দুষণমুক্ত করুন। রাত্রি এখন দিনের আলোয় আলোকিত।”
এসব প্রসঙ্গে ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদ জানান, বিষয়টা পরস্পরের মাধ্যমে শুনেছেন। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।
ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, বিষয়টা নেতাকর্মীদের মাধ্যমে জানার পর অস্বস্তিতে রয়েছি।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে সাদিয়া সুলতানা রাত্রী সাধারণ সম্পাদক হয়। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও ২০১৯ সালের কমিটিতে হঠাৎ করে সহ-সভাপতি হয়ে সবাইকে চমকে দেয় সাদিয়া রাত্রী।