ফেনীতে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বিপন্ন প্রজাতির তিনটি মুখ পোড়া হনুমানসহ ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল এলাকা থেকে হনুমানগূলো উদ্ধার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি গাড়ি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালায় ফেনী মডেল থানা পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে সেখানে ৩টি মুখপোড়া কালো হনুমান উদ্ধার করা হয়।
এ সময় লাইসেন্স বা ফারমিট ছাড়া বিপন্ন প্রজাতির হনুমান বিক্রি ও প্রাচারের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখায় মোঃ সুজন উদ্দিন (২৪) ও মোঃ শাকিল নামে দুই জনকে আটক করা হয়। সুজন সোনাগাজীর বক্তারমুন্সি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এর ছেলে ও শাকিল নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বেলিয়া গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ফেনী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) থোয়াই অং প্রু মারমা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে হনুমান গুলোকে হস্তান্তর করেন।
ফেনী সামাজিক বন বিভাগ ফেনী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক জানান , হনুমান গুলোকে চট্টগ্রামের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কক্সবাজার ডুলা হাজরা সাফারি পার্কে প্রেরণ করা হবে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৭,অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম থেকে সাতক্ষীরাগামী জি এস ট্রাভেলস এর একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি মুখপোড়া হনুমান ও ১৬ টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় লাইসেন্স বা ফারমিট ছাড়া বিপন্ন প্রজাতির হনুমান ও কচ্ছপের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখায় আহাদুজ্জামান রাজু (৪২) নামে একজনকে আটক করা হয়।
