বান্দরবানের সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তিন কোটির বেশী টাকা মূল্যের তিন কেজি ২০০ গ্রাম আফিমসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১৫।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তার চিংহ্লামং মারমা (৬০) বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার মিনিঝিরি পাড়ার বাসিন্দা আপ্রুমং মারমার ছেলে।
সোমবার বিকালে বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার রুমা স্টেশন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাবের এ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সোমবার বিকালে বান্দরবানের বারমাইল এলাকা হতে বাস যোগে মাদকের বড় একটি চালানসহ কতিপয় কারবারিরা জেলা সদরের দিকে আসছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে র্যাব সদস্যরা সদর উপজেলার রুমা স্টেশনে সড়কের উপর একটি অস্থায়ী তল্লাশী চৌকি স্থাপন করেন। এক পর্যায়ে থানচির দিক থেকে আসা সুগন্ধা পরিবহন সার্ভিসের একটি বাস সেখানে পৌঁছালে র্যাব সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন। এসময় হাতে পলিব্যাগসহ সন্দেহজনক এক ব্যক্তি গাড়ী থেকে নেমে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে র্যাব সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এসময় লোকটির হাতে থাকা পলিব্যাগের ভিতরে পাওয়া যায় ৩ কেজি ২০০ গ্রাম আফিম। উদ্ধার হওয়া এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য তিন কোটি দুই লাখ টাকা। “
গ্রেপ্তার ব্যক্তির প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, “ গ্রেপ্তার চিংহ্লামং মারমা একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। সে বান্দরবান কেন্দ্রিক আফিম ক্রয়-বিক্রয় এবং মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। বান্দরবানের পাহাড়ী মাদক চক্রের সাথে সমন্বয় করে দূর্গম পাহাড়ী অজ্ঞল এবং প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে আফিমের চালান নিয়ে আসতো। পরে এসব মাদক কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অজ্ঞলে পাচার করতো। “
গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে বান্দরবান সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।