রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ রাসেল-এর ৬০তম জন্মদিন যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। বুধবার রাতে  'শেখ রাসেল: চিরঞ্জীব প্রাণের প্রেরণা' শীর্ষক এক বিশেষ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।

তিনি বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারে সকল সুখের মধ্যমণি, আনন্দ, উচ্ছলতা ও প্রাণচঞ্চলতা সবকিছু তাকে ঘিরেই রচিত হয়েছিল। শিশু সন্তানকে হায়েনারা নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। এটি অত্যন্ত নির্মম ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। যারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং বাংলাদেশকে অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল তারা যে কতটা হিং¯্র হতে পারে সেটি শেখ রাসেলকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বুঝতে পারি।

শিশু শেখ রাসেলের মধ্যে যে মানবিক গুণাবলি, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণ ছিল। যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি বঙ্গবন্ধুর মত একজন হয়ে উঠতেন। শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে খুনিরা বাঙালিকে একজন প্রকৃত নেতার নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নারকীয় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করে তিনি আরো বলেন, যারা দেশের বাহিরে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হোক। যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের মরণোত্তর বিচার করা হোক। যদি মরণোত্তর পুরস্কার দেয়া যায়, তাহলে মরণোত্তর বিচারও করা সম্ভব।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নির্মম হত্যাকাÐের শিকার সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। উল্লেখ্য, দিনের শুরুতে রবির পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনোত্তর সভায় রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল শিশু রাসেল বড় হয়ে একজন মানবতাবাদী মানুষ হবে। তাইতো মানবতাবাদী দার্শনিক ব্রাটান্ড রাসেলের নামে নাম রেখেছিলেন রাসেলের। জীবের প্রতি প্রেম, আর্তের প্রতি সহমর্মিতার মতো গুণ সেই শৈশবেই রাসেলের মধ্যে দেখতে পেয়েছি। এ অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।