রংপুর অঞ্চলে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭০ জন কৃষক প্রণোদনার আওতায় আসছে

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় আসন্ন রবি মৌসুমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হবে। প্রণোদনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রায় ১০টি শস্য আবাদের জন্য এই প্রণোদনা দিবে কৃষি মন্ত্রনালয়।  প্রত্যেক কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য উল্লিখিত বীজ ও সার প্রাপ্ত হবে।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গম, ভ’ট্টা, সরিষা, সূর্যমুখি, চীনাবাদাম, সয়াবিন, পিয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারী আবাদ বৃদ্ধিতে বীজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের প্রদান করা হবে। তবে যে জেলায় যে সব ফসলের আবাদ ভাল হয় সেই জেলার কৃষকদের ওই ফসলের বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হবে। অঞ্চলের মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ জন কৃষকের মধ্যে রংপুর জেলায় প্রণোদনা পাবে ৪০ হাজার ১১০ জন কৃষক। গাইবান্ধা জেলায় প্রণোদনা পাবে ৩৮  হাজার ২শ জন কৃষক।

কুড়িগ্রাম জেলায় প্রণোদনা পাবে ৪৮  হাজার ৮২০ জন কৃষক। লালমনিরহাট জেলায় প্রণোদনা পাবে ২৬  হাজার ৯০০ জন কৃষক এবং নীলফামারী জেলায় প্রণোদনা পাবে ২২  হাজার ৪৪০ জন কৃষক। আগামী অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে রবি মৌসুম। তবে কবে থেকে প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষকদের দেয়া হবে তা নিশ্চিত করে জানা না গেলেও. রংপুর জেলায় কৃষকদের ৫টি  ফসল প্রনোদনা হিসেবে দেয়া হবে। এগুলো হচ্ছে গম, ভ’ট্টা, সরিষা, চিনাবাদা এবং শীতকালীন পেঁয়াজ বলে জেলা কৃষি অফিস নিশ্চিত করেছে। ১জন কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ১টি ফসল প্রণোদনা হিসেবে  প্রাপ্ত হবেন। গমের জন্য নির্বাচিত কৃষককে বীজ দেয়া হবে ২০ কেজি ও ডিএপি এবং এমওপি সার দেয়া হবে ১০ কেজি করে।  ভ’ট্টার  জন্য নির্বাচিত কৃষককে বীজ দেয়া হবে ২ কেজি ও ডিএপি এবং এমওপি সার দেয়া হবে যথাক্রমে ২০কেজি এবং ১০ কেজি করে।

সরিষার জন্য বীজ দেয়া হবে ১ কেজি ও ডিএপি এবং এমওপি সার দেয়া হবে ১০ কেজি করে। শীতকালীন পেঁয়াজের জন্য বীজ দেয়া হবে ১ কেজি ও ডিএপি এবং এমওপি সার দেয়া হবে ১০ কেজি করে। চীনাবাদাম বীজ দেয়া হবে ২০ কেজি ডিএপি ১০ কেজি এবং এমওপি ৫ কেজি করে। এদিকে জেলায় কোথাও কোথাও  গ্রীস্মকালীন প্রণোদনায় দেয়া পেঁয়াজ আবাদ ভাল না হওয়ায় অনেকেরই ধারনা বীজ পুরাতন হওয়ায় পেঁয়াজের আশানুরুপ উৎপাদন হয়নি। তাই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কৃষক পর্যায়ে মানসম্পন্ন শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ সরবরাহের দাবি উঠেছে ।

রংপুর  কৃষি সম্প্রসাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, বিএডিসি (বীজ)  আমাদের বীজ সরবরাহ করে। আসন্ন রবি মৌসুমেও তারাই বীজ সরবরাহ করবে। তিনি বলেন, সরিষার আবাদের সময় হয়ে গেছে। তাই আশাকরি দ্রুত কৃষকদের বীজ প্রদান করা হবে। বাকি বীজ পর্যায়ক্রমে কৃষকদের দেয়া হবে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ খারাপের বিষয় জাততে চাইলে তিনি বলেন, দু’একজন কৃষকের উৎপাদন খারাপ হতে পারে। কিন্তু অনেকের আবাদ সমস্যা হয়েছে এ সম্পর্কে কেউ তাকে অবগত করেননি। আগে থেকে জানা থাকলে ব্যবস্থা গ্রহনে সুবিধা হয়। ১৬ অক্টোবর রবি মৌসুম শুরু হয়ে চলবে আগামী বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত।