নেত্রকোণায় ফলের ক্যারেটে ভারতীয় মদ
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফলের ক্যারেটে করে পাচার হচ্ছে ভারতীয় মদ। এসব কাজে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মোটর সাইকেল ব্যবহার করছে মাদক-কারবারিরা। ফলের ক্যারেটে মাছ পরিবহনের মত করে মোটর সাইকেলে মদ পরিবহনকালে নিক্লেশ সরকার (৩০) নামের এক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে কলমাকান্দা থানার পুলিশ। শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোরের দিকে উপজেলার ডেইট্টাখালি-সেতুর দক্ষিণ পাশ থেকে তাকে ৪৮ বোতল মদ ও একটি মোটর সাইকেলসহ প্রেফতার করা হয়।
কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, এক যুবক সীমান্ত এলাকা থেকে মদ নিয়ে নেত্রকোণা জেলা শহরের দিকে যাচ্ছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে শনিবার ভোরের দিকে কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ডেইট্টাখালি সেতুর দক্ষিণ পাশে পাকা রাস্তায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে একজন যুবককে তার মোটরসাইকেলের দুইপাশে ফলের চারটি ক্যারেট বেঁধে এই ক্যারেটে করে কিছু নিয়ে আসতে দেখা যায়। মোটরসাইকেলটি থামিয়ে তল্লাশী করা হয়। এ সময় ফলের ক্যারেটের ভিতর লুকিয়ে রাখা চারটি কার্টুনের প্রতিটিতে ১২ বোতল করে মোট ৪৮ বোতল ভারতীয় মদ পাওয়া যায়। পরে ওই মদ ও মোটরসাইকেল জব্দ এবং যুবককে প্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে যুবক তার নাম নিক্লেশ সরকার বলে জানায়।
অনেকের অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় চুরাচালানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন গোপনপথে ভারতীয় চিনি, কম্বল, মদ ও মশলাসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এসব চুরাইপণ্য অনেকটা প্রকাশ্যেই দেশের বিভিন্নস্থানে মোটর সাইকেল, এম্বুল্যান্স, সিএনজি, পিকআপ, লরি, এমনকি ট্রাকে করে সরবরাহ করছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা যেনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তবে, মাঝে মাঝে পুলিশের হাতে মালামাল যা ধরা পড়ে, তা খুবই সামান্য।
চুরাচালানির বিষয়ে আবুল হামির নামের একজন বলেন, মোটর সাইকেলে এ ধরণের কিছু দেখলেই মনে হয় ভেজাল আছে। কারণ- এসব মোটর সাইকেল খুবই দ্রুতবেগে চলে, মনে হয় কেউ ধাওয়া করছে। চুরাচালানি রোধে সীমান্ত-সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশ চেক-পোস্ট স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন শামীম মিয়া নামের অপর এক ব্যক্তি। একই অভিমত আরো অনেকের।