চট্টগ্রামে গভীর সাগরে অবস্থিত পরিত্যক্ত ‘সাঙ্গু’ গ্যাসক্ষেত্রের মালামাল চুরির অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। গ্যাসক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাকচার, পাইপ ও বিভিন্ন মালামাল চুরির সময় রোববার ভোরে তাদের আটক করা হয়। আটক ছয়জন হলেন ইকবাল হোসেন জুয়েল, মেরাজ উদ্দিন, মফিজ, কামরুল, মো. রুবেল ও আমজাদ খাঁ।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রের মালামাল চুরি করার চেষ্টা করে আসছে। তারা রোববার ভোরে গ্যাসক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাকচার, পাইপ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরির চেষ্টা করছে এমন একটি গোপন সংবাদ পায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এর ভিত্তিতে ভোর পাঁচটার দিকে অভিযান চালিয়ে গ্যাসক্ষেত্রের কাছে একটি সন্দেহজনক বোট ও গ্যাসক্ষেত্রের ওপরে কয়েকজন লোককে বিভিন্ন মালামাল কাটার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, ওই সময় হাত করাত, গ্যাস কাটার, হাতুড়ি, স্প্যান্ডর, ছুরি, গ্যাস পাইপ কাটিং রেগুলেটর, গ্যাস সিলিন্ডার ও ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোটসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে তারা সাঙ্গুর মালামাল চুরি করার কথা স্বীকার করেছে। এসব মালামাল চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বিক্রি করা হতো। আটক ছয়জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত গভীর সাগরে সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্রটির অবস্থান। নব্বইয়ের দশকে দৈনিক ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হতো সাঙ্গু থেকে। বহু জাতিক কোম্পানি স্যান্টোসের নিয়ন্ত্রনে থাকা এই গ্যাস ক্ষেত্র থেকে নির্বিচার গ্যাস উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে। এক পর্যায়ে গ্যাস ক্ষেত্র থেকে ফুরিয়ে যায় মজুত গ্যাস। অন্তত ১৭ বছর আগে ওই গ্যাস ক্ষেত্র পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে প্রায় সময় পরিত্যক্ত এই গ্যাস ক্ষেত্র থেকে মালামাল চুরির অভিযোগ উঠে। এর আগেও কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে মালামালসহ চোর ধরেছিল কোস্টগার্ড।