বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সোমবার বিকালের মধ্যে দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। এর জন্য দ্বীপজুড়ে মাইকিং এবং সকল হোটেল মোটেল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করেও ছিল বিচ কর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু এই নিদের্শনা না মেনে সেন্টমার্টিন ছাড়েননি আড়াই শতাধিক পর্যটক।
সোমবার বিকাল ৩ টায় সেন্টমার্টিনের জেটি ঘাট থেকে পর্যটকদের নিয়ে তিনটি জাহাজ টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।। জাহাজ তিনটিতে পর্যটক সহ ২ হাজারের কাছা-কাছি যাত্রী রয়েছেন। তবে দ্বীপে এখনও আরও আড়াই শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছে। যারা দ্বীপ ত্যাগ করেননি। সেন্টমাটিনে জেটিঘাটের ইজারাদারের টোল আদায়কারী মো. জাহাঙ্গীর এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সোমবার বিকাল ৩ টায় পর্যটকদের নিয়ে ৩ টি জাহাজ টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়েছে। সব ঠিক থাকলে সন্ধ্যা ৬ টায় জাহাজ ৩ টি টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে পৌঁছবে। টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে মাইকিং করা হয়েছে পর্যটকদের দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও কিছু সংখ্যক পর্যটক সেন্টমার্টিন রয়ে গেছেন। তাদের সংখ্যা কত তা রাতে নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হয় তো দুই/তিন দিন জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। দ্বীপে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সাগর কিছুটা উত্তাল ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বা সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহি জাহাজসহ সকল প্রকার ট্রলার ও স্পীডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। তাই পর্যটকদের সেন্টমার্টিন থেকে সোমবার জাহাজ থেকে টেকনাফ ফিরতে বলা হয়েছিল। বিকাল ৩ টায় জাহাজ রওয়ানা হয়েছেন। এখন আর কোন পর্যটক সেন্টমার্টিনে আছেন কি না খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কি:মি: পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৯ কি:মি: পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি:মি: দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি:মি: দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।