নিজের শ্রাদ্ধ নিজেই সারলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
নির্মলেন্দু গুণ একজন খ্যাতিমান কবি। স্বভাবতই তাঁর চিন্তা-চেতনা অন্য দশজনের থেকে আলাদা। তাঁর লেখায় যেমন মৌলিকত্ব আছে, কাজের বহি:প্রকাশও ঘটে তেমনি ব্যতিক্রম ধারায়। জীবদ্দশায় নিজের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান এমনি এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। রোববার নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামের নিজ বাড়িতে (২২ অক্টোবর) এই আত্নশ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বিরা সাধারনত: কারো প্রয়াণ শেষে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে থাকেন। ব্যতিক্রমে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন করেছেনে কবি নির্মলেন্দু গুণ। এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানকে আত্মশ্রাদ্ধ বলেছেন তিনি।
জানা যায়, অনুষ্ঠান বলতে সাধারণের মাঝে অর্থ বিতরণ। এই অনুষ্ঠানে তেমন আড়ম্বর ছিল না। কবি কয়েকজন ভক্তকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার তিনশতাধীক মানুষের হাতে, তাঁর ভাষায়- যৎকিঞ্চিত বিত্তবিতরণ করেন।
মৃত্যূর আগে কারো শ্রাদ্ধ করা শাস্ত্র সম্মত কিনা এ বিষয়ে সোমবার বিকেলের দিকে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, জীবিত থাকা অবস্থায় নিজের শ্রাদ্ধ নিজে করতে পারে। এটাকে আত্মশ্রাদ্ধ বলা হয়ে থাকে। এতে শাস্ত্রীয় কোন সমস্যা নেই। আমাদের নেত্রকোণাতেও এর আগে অনেকে জীবদ্দশায় আত্মশ্রাদ্ধ করেছেন।
কবি বলেন, আমি আত্মনির্ভশীল মানুষ। নিজের কাজ নিজে করে যেতে চাই। আমার মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজনকে শ্রাদ্ধের জন্য চাপ পোহাতে হবে না। পরিবারকে চাপমুক্ত রাখতেই আতœশ্রা করা হয়েছে। এতে করে মৃত্যুর পর আর শ্রাদ্ধ করার প্রয়োজন হবে না।
কবি আরও বলেন, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের কর্মযোগ ও সৃষ্টিযোগকে আমি অনুসরণ করি। এ কারণে আমি বিদ্যালয় করেছি, কবিতাকুঞ্জসহ আরও অনেক কিছুই করেছি। এসবে মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
উল্লেখ্য, কবি নির্মলেন্দু গুণ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পদক ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন। তবে বিয়েটা তাঁর আজো বাঁকি।