ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে হাতিয়া-ঢাকা লঞ্চ চলাচল, হাতিয়া-চট্টগ্রাম স্টিমার চলাচল ও হাতিয়া-বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পর্যবেক্ষক আজরুল ইসলাম বলেন, হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। হাতিয়াসহ উপকূলীয় এলাকায় গতকাল সোমবার ভোর রাতের দিকে ৩৭ মিলিমিটার এবং আজ ৫মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৪৮ ঘন্টা সময় লাগতে পারে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৭নম্বর সংকেত চলছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় গতকাল সোমবার দুপুর থেকে থেকে হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বড় সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে তীরবর্তী এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনো উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়নি এবং প্লাবিত হওয়ার কোনো সংবাদ আমরা পাইনি। দুপুর ১টার দিকে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি মিটিং ডেকেছি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য। আমাদের ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তত রয়েছে।