‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারে’

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকে চিরঅম্লান রাখার উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জে ২০১৫ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর প্রধান কারণ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য কাছারি বাড়ি রয়েছে। রবির নিজেস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় বর্তমানে দুটি বেসরকারি কলেজে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও একটি বেসরকারি কলেজে চলছে লাইব্রেরির কার্যক্রম এবং ২টি ভাড়া বাসায় চলছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

এ সম্পর্কে রবির (ভিসি) প্রফেসর ড. শাহ্ আজম বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমেই কেবল রবি রবীন্দ্রনাথের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারে। নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতাকে সঙ্গে নিয়েই রবি পরিচালিত হচ্ছে। শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রয়েছে বিশালাকার কাছারি বাড়ি। রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছারি বাড়ির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে বাধার বিন্ধ্যাচল অতিক্রম করতে হয়। রবিকে কাছারি বাড়ি ব্যবহারের জন্য মানতে হয় নানাবিধ শর্ত।

তিনি আরো বলেন, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিময় ঠাকুর বাড়ি, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। রবীন্দ্রনাথের হাতে গড়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ, শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের বাসভবন কোনার্ক, শ্যামলী, উদয়নসহ সমস্তকিছু। প্রাচীনতম জাদুঘর, বরেন্দ্র জাদুঘরের তত্ত্বাবধান করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তেমনভাবে শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির তত্ত্বাবধান করার দায়িত্বটি রবির হওয়া উচিত।

রবির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী এরশাদুজ্জামান আশেক ও আম্মায় আছিফুন মিম জানান, ক্যাম্পাস, হলবিহীন রবির শিক্ষার্থীদের রবীন্দ্র চর্চা, রবীন্দ্র দর্শন, রবীন্দ্র সৃষ্টিকর্ম নিয়ে গবেষণা, রবীন্দ্রনাথের জীবনী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন, দলগত পাঠক্রমে অংশগ্রহণসহ নানা একাডেমিক কাজের জন্য রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির প্রাঙ্গণটি হতে পারে উৎকৃষ্ট ক্ষেত্র। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে শিক্ষার্থীরা এসকল বিষয় থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত। উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাছারি বাড়ির তত্ত্বাবধান রবির অধীনে আনা প্রয়োজন।