ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘শেখ হাসিনার মত দ্বিতীয় রাষ্ট্রনায়ক বাংলাদেশে জন্মেনি আর ভবিষ্যতেও জন্মাবে না’

‘শেখ হাসিনার মত দ্বিতীয় রাষ্ট্রনায়ক বাংলাদেশে জন্মেনি আর ভবিষ্যতেও জন্মাবে না’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার মত দ্বিতীয় রাষ্ট্রনায়ক বাংলাদেশে জন্মেনি আর ভবিষ্যতেও জন্মাবেনা। মন্ত্রী শনিবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী পিরোজপুর জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেছেন, যার হাতে এই বাংলাদেশ নিরাপদ, যিনি জঙ্গির উত্থান থেকে বাংলাদেশকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলের পরিণত করেছেন, আধুনিকতার ছাপ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, যিনি আজকে কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করেছেন, যিনি মেট্রোরেল চালু করে দিয়েছেন তিনি হচ্ছেন আমাদের উন্নয়নের সারথি। মন্ত্রী আরোও বলেন, যার ভুমিকায় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে, ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস চালু হয়েছে, যিনি পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন, তিনিই শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগন নৌকায় ভোট দিলে শেখ হাসিনার নৌকা বিজয়ী হবে। যদি ধানের শীষকে ভোট দেয় ধানেরশীষ বিজয়ী হবে। আমরা জোর করে সরকার গঠন করতে চাই না। কিন্তু জনগন ভোট দিতে আসার যে পরিবেশ সেই পরিবেশ কেউ যাতে বিঘিœত করতে না পারে সে জন্য আমাদের প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের পুলিশ, র‌্যাব এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আপনাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এসময় মন্ত্রী বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ভোটে নেতা নির্বাচিত হবে, নির্বাচিত ব্যক্তিরা সরকার গঠন করে দেশ চালাবে। আমরা আশা করছি ২০২৪ এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে আপনাদের গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে প্রতিটি কেন্দ্রে যথাযথভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই নির্বাচনটা যদি না হয়, ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, পরিস্থিতি যদি অনুকূলে না থাকে তাহলে গণতান্ত্রিক যে পদ্ধতি সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। দেশে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট মেয়াদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেই ভোটে জনগণ তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাবেন। তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষায়, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশাল ভূমিকা রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যহত রাখার জন্য সেই নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। আপনাদের গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে যথাযথ ভাবে যাতে নির্বাচন হয় নিবাপত্তাসহ শৃঙ্খলা বিধানে আপনাদের অনেক আস্থার জায়গায় আমরা দেখতে চাই। মন্ত্রী বলেন, এক সময় যুদ্ধাপরাধীরা দাম্ভিকতার সাথে চলত। কেউ তো বলত চাঁদ তারা পতাকা আনতে হবে। কেউ কেউ জাতীয় সংগীত পরিবর্তনে কথা বলেছিলো। ৩০ লক্ষ শহিদের, দুই লক্ষ মা বোনের সভ্রমের বিনিময়ের আমার বাংলাদেশকে তারা আবার সাম্প্রদায়িক পূর্বপাকিস্তানে পরিনত করতে চেয়েছিলো। সেখান থেকে প্ররিত্রাণ দিয়েছেন যিনি তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। কাজেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তার মত দ্বিতীয় রাষ্ট্র নায়ক বাংলাদেশে জন্মেনি। বাংলাদেশে ভবিষ্যতেও জন্মাবে না বলে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস। আমার বিশ্বাস উন্নয়নের কান্ডারি হিসেবে দরিদ্র মানুষের দুঃখ বোঝার বিষয়ে একজন রাষ্ট্র নায়ক বাংলাদেশে তিনি আর কেউ নন তিনি শেখ হাসিনা। কাজেই মনে রাখতে হবে নারী পুরুষ, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্ট্রান সবার এই সুবর্ণভূমিতে কোন ভাবে যেনো শকুনের ছোবল না হয়। এটা আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র বরিশাল রেঞ্জের পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম (বিএএমএস), পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান, এনএসআই’র যুগ্ন পরিচালক মো. আব্দুল কাদের, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার ও সাংবাদিক গৌতম চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ ইয়াছিন আলী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। মন্ত্রী আরও বলেন, জনগন তাকে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে বসে আছেন। কিন্তু ভোটে পরিবেশটা আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন জনগন আমাকে ভোট না দিলে আমি চলে যাবো। এটা অনেক নেতা বলতে পারেন না সাহস করে। শেখ হাসিনা বলেন আমাকে ভোট না দিলে আমি থাকবো না। অনেক রাষ্ট্র নায়করা ক্ষমতায় গিয়ে হালুয়া রুটির লোভে দূর্নীতি করেছেন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। দেশের বাইরে পলাতক আছেন। আর শেখ হাসিনা বা তাঁর পরিবার নিয়ে কেউ বলতে পারবে না যে দূর্নীতির সাথে তাদের নুন্যতম সংশ্লিষ্ট আছে। কারন শেখ হাসিনা মনে করেন ক্ষমতা নিজের বিত্ত বৈভবের জন্য না। ক্ষমতা হচ্ছে মানুষের কল্যানে নিজেকে আত্মৎসর্গ করে দেওয়ার রাজনৈতিক নৈতিক দায়িত্ব শেখ হাসিনা মনে করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৪ সালের দিকে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেবে না এক দল রাস্তায় নেমেছিলো। অনিদিষ্টকালের জন্য অবরোধ হরতাল ডেকে ছিলো। শুধু অবরোধ না পেট্রোল বোমা ছুড়ে গাড়ির ভিতর থাকা জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিলো। প্রায় ৫শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছিলো। নির্বাচন ঠেকানোর জন্য এই বর্বরতা করা হয়েছিলো। এটা কি রাজনীতি! আমি যদি মনে করি যে নির্বাচনে আমি যাবো না। আমি আহবান জানাবো নির্বাচন ত্যাগ করতে মানুষকে। নির্বাচন বয়কট করেন। যেমনটি মাওলানা ভাষানী করেছিলেন আমি নির্বাচনে যাবো না। মানুষ আপনার পক্ষে থাকলে নির্বাচনে আসবে না। কিন্তু পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা এটা রাজনীতি না। এটা পশু প্রবৃত্তির কর্মকান্ড।

সমাবেশ শেষে দুইজন মহিলা আনসার সদস্যের মাঝে সেলাই মেশিন ও ২৭ জন আনসার সদস্যের মাঝে ২৭টি বাইসাইকেল বিতরন করা হয়।

রাষ্ট্রনায়ক,হাসিনা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত