ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে অপহরন

চাঁদপুরে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে অপহরন

চাঁদপুরে ৮ম শ্রেনীর এক মেধাবী ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে একই এলাকার আলম খান (২২) ও তার সহযোগী একদল বখাটে যুবকদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় প্রথমে চাঁদপুর মডেল থানায় ঘটনার পর ও পরবর্তীতে চাঁদপুর আদালতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ৫ জনকে আসামী করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেছেন অপহরনের শিকার ছাত্রীর পিতা মো: ইউনুছ শেখ।

মামলার আসামীরা হচ্ছে, আলম খান, ছালামত খান, মো: মমিন খান ও শাকিল খানসহ ৯ জনকে আসামী করা হয়। অপহরনের পর ১২দিন অতিবাহিত হলেও স্কুল ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় ঘটনার দিনই স্কুল ছাত্রীর পিতা ইউনুছ শেখ অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ উদ্ধার করতে না’পারায় অপহরনের শিকার স্কুল ছাত্রীর পিতা অবশেষে রোববার (২৯ অক্টোবর) চাঁদপুর আদালতে ৪জনের নাম উল্লেখ করে ৫জনের নাম অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেছেন।

আদালত এ ঘটনাটি আমলে নিয়ে জেলা পুলিশের সিআইডিকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। ঘটনাটি ঘটে, গত (১৭ অক্টোবর) চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারস্থ শরীফের দোকানের নিকট সরকারী রাস্তার উপর।

এ বিষয়ে আদালতের মামলা থেকে ও এলাকায় সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়,চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিন বাগাদীর ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইউনুছ শেখের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে রুপা আক্তার টুম্পা (১৫),ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী। সে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে একই এলাকার খান বাড়ির ছালামত খানের বখাটে ছেলে আলম খান দীর্ঘ দিন যাবত স্কুল ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক রুপা আক্তার টুম্পাকে উক্তোক্ত করতো এবং বিভিন্ন কু-রুচিপূর্ন অঙ্গভঙ্গি ও কু-প্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে ভিকটিম রুপা আক্তার তার পিতাকে বখাটে যুবক আলম খানের অসালিন আচরন সম্পর্কে অবগত করে।

পরবর্তীতে অপহরনের শিকার রুপা আক্তারের পিতার ইউনুছ শেখ বখাটে যুবক আলমের অপরাধজনক কর্মকান্ডের বিষয়ে তার পিতা ছালামত খান,মাতাসহ অন্যান্য অভিভাবককে জানালে তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ,বা শাষন না করে তাদের ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলে। তা’ না’হলে মেয়েকে বন্দি করে রাখার জন্য বলে। এতে করে অপহরনকারী যুবক আলম খান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এদিকে অপহরনের শিকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৮ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী রুপা আক্তার টুম্পা নিজ বাড়ি থেকে গত (১৭ অক্টোবর) সকালে ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে থাকা অপহরনকারী আলম খান ও তার সাথে থাকা একদল বখাটে যুবকসহ বিদ্যালয়ের অপর ছাত্রী ঝর্না আক্তারের সামনে থেকে রুপা আক্তার টুম্পাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সি.এন.জি চালিত অটোরিকসায় তুলে অপহরনে করে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য,বালিয়া এলাকায় গিয়ে জানা গেছে,অপহরনের শিকার টুম্পাকে অপহরনকারী আলম খানের বাড়িতে এর পূর্বে বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ৫টি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে জোর পূর্বক তুলে এনে বিবাহ করায় তাদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। এলাকাবাসী আরো জানান,আলম খানের এক চাচা গত কয়েক মাস পূর্বে এভাবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক তুলে এনে বিয়ে করেছে। এ খান বাড়ির অভিভাবকদের সহায়তা,তাদের ইন্ধনের কারনে ও এলাকার কতিপয় শালিশের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ের কারনে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলছে এ এলাকায়।

এ বিষয়টি আমলে নেওয়ার জন্য সচেতন মহলের দাবী এ ধরনের ঘটনা যাতে আগামী না ঘটে এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের জীবনের দিক বিবেচনা করে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।

অপহরন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত