আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে কক্সবাজারে 'স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা'

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ২২:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় 'স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা'। 

রবিবার (২৯ অক্টোবর) কক্সবাজার শহরের লাবনী পয়েন্টের অভিজাত একটি হোটেলের হলরুমে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় একটি ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়া শেয়ারিং শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে কক্সবাজারে অবস্থানরত অসংখ্য ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান ও ফ্রিল্যান্সার অংশগ্রহণ করেন। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের উপ-পরিচালক (সিস্টেম এনালিস্ট) মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মো. হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেন, আজকের যুগ আইটিতে শিক্ষিত হবার যুগ। আজকে নিরক্ষরতার সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। নিরক্ষরতার ক্ষেত্রে আইটি লিটারেসিও এখন বিবেচনা করা হয়। আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো দিক থেকে পিছিয়ে রাখতে চাই না। শিক্ষার্থীদের আইটি কেন্দ্রীক জড়তা কাটাতে হবে। শুধু বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীরা নয়, যারা বাংলা, দর্শন, ইতিহাসে পড়ছে তাদেরও আইটিতে দক্ষ হতে হবে। না হলে আমরা পিছিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, কম্পিউটার দিয়েও যে লক্ষ কোটি টাকা আয় করা যায়, তা এখনো অনেকে বিশ্বাস করে না। অথচ প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সার'রা এ অসম্ভব দিনদিন অধিকতরে সম্ভব করে তোলছেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশাল সম্ভাবনা। দেশের বিশাল এই যুবসমাজ যদি কর্মক্ষম ও কর্মমূখী হয়, তাহলে দেশে আর্থিক সমৃদ্ধির অভাব ঘটবে না। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কাজের মূলশক্তি হলো ইচ্ছা। ইচ্ছা শক্তি থাকলে সব কাজ সফলভাবে করা যায়। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার এর উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা মাহমুদা মোর্শেদা।

এদিকে মেলায় অংশ নেওয়া অসংখ্য তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো আবেদন ও পরামর্শের সুযোগ পায়। পাশাপাশি পাঁচজন ফ্রিল্যান্সারের সফলতার গল্প এবং মুক্ত আলোচনা পর্বও অনুষ্ঠানে ব্যাপক ছাড়া পেলে। এতে সফলতার গল্প, সরকারের অর্জনসমূহ, সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে প্রতি জন ৫ মিনিট করে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং বিষয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন উপস্থিত অন্যান্যরা। 

পরে মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন আগত অতিথিসহ ফ্রিল্যান্সার'রা। পরে দুপুর ২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপনী ঘোষণা করে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করেন সকলেই।