বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে নাশকতার চেষ্টার দায়ে টেকনাফ থানায় ১ টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই মামলার এজাহারভূক্ত আসামি করা হয়েছে ২১ জনকে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলার ৬ টি থানায় ৭ টি মামলা দায়ের করল পুলিশ। এই ৭ মামলায় আসামী ১২২ জন।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মিনাবাজার এলাকায় নাশকতার চেষ্টা, পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে এই মামলা দাযের করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার উপ-পরিদর্শক মিল্টন মন্ডল বাদি হয়ে দায়ের করা এই মামলায় হ্নীলা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক মুরাদ হোসেন চৌধরীকে এক নাম্বার আসামী করে রফিকুল আলম চৌধুরী, এডঃ রশিদুল আলম চৌধুরী, মোঃ আব্দুল্লাহ বিন কাদের , আনোয়ার হোসেন, জামাল, মামুন, শাহনেওয়াজ,বাদল,নাজমুল সহ ২১ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, টেকনাফ থানার পুলিশ যে মামলাটি দায়ের করেছেন তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও গায়েবি মামলা। টেকনাফে ঐ ধরনের কোন নাশকতার ঘটনাই ঘটেনি। ক্ষমতাসীন দলকে খুশি করার জন্য এই মিথ্যা মামলাটি পুলিশ দায়ের করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এই মিথ্যা ও গায়েবি মামলার প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান , কক্সবাজার সদর থানায় ২ টি, রামু, মহেশখালী, উখিয়া, টেকনাফ ও ঈদগাঁও থানায় ১ টি করে ৫ টি মামলা হয়েছে।
রামু থানায় দায়ের করার মামলার বাদি উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ ইয়াছিন। যেখানে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৮ জনকে।
ঈদগাঁও থানায় দায়ের করা মামলাটির বাদি উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ১৫ জন।
উখিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদী এস আই মোঃ আবদুল ওয়াহেদ। মামলায় এজাহার নামীয় আসামী করা হয় ৩৫ জনকে।
কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের করা ২ টি মামলার মধ্যে একটি বাদি উপ-পরিদর্শক ওবাইদুল হক। যে মামলাটিতে এজাহারভূক্ত আসামির নাম রয়েছে ১৯ জন।
কক্সবাজার সদর থানার অপর মামলাটির বাদি উপ-পরিদর্শক মিঠুন সিংহ। যে মামলায় এজাহারে আসামি হিসেবে ১৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।