চট্টগ্রামে অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও বাসে আগুন

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

বিএনপি-জামায়াতের তিনদিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সোয়া আটটার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ভেল্লাপাড়া ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে গত সোমবার ও মঙ্গলবার নগরের বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পটিয়ার দিক থেকে আসা কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো.আবদুর রাজ্জাক বলেন, সকাল সোয়া আটটার দিকে দুর্বৃত্তরা একটি লোকাল বাসে আগুন দিয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে যায়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।  

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের নামিয়ে দিয়ে বাসটি কর্ণফুলী থেকে পটিয়ার দিকে যাওয়ার সময় ভেল্লাপাড়া ব্রীজের পাশে অবরোধকারীরা সেটি আটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাসচালক ও সহকারী দ্রæত নেমে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। জড়িতদের শনাক্ত করতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে বুধবার ভোরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের চৌধুরী গোট্টা এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে গাছ কেটে ব্যারিকেড দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে সেখানে আসা দুটি খালি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়।  ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশন কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান বলেন,  ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকের আগুন নেভানো হয়। পরে সড়ক থেকে গাছ কেটে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

এদিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে মীরসরাইয়ে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টির চেষ্টা চালায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।   বুধবার (১ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বারইয়ারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ আসার আগেই আগুন নিভিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অবরোধকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানান জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ভোরে তারা রাস্তার পাশে একটি দোকান থেকে টায়ার নিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। সব মিলিয়ে তারা প্রায় ২০ মিনিট সেখানে অবস্থান করে।  

এদিকে অবরোধের দ্বিতীয় দিন (বুধবার) মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন দেখা যায়নি। তবে লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত ও মালবাহী যানবাহন চলাচল ছিলো স্বাভাবিক।