টাঙ্গাইলে অবরোধে চলছে না দূরপাল্লার বাস, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
বিএনপি-জামায়াতের ৭২ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার (১ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের সড়ক-মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহনে যাত্রী সাধারণ অতিরিক্ত ভাড়ায় যাতায়াত করছে।
সরেজমিনে মহাসড়কের এলেঙ্গা, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস, করটিয়া, পাকুল্যা ও মির্জাপুরে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘক্ষণ পর পর ২-১টি দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করছে। তবে ঢাকাগামী গণপরিবহনগুলো গাজীপুরের চন্দ্রা ও সাভারের নবীনগর পর্যন্ত যাত্রীদের পৌঁছে দিয়ে আবার ফিরে আসছে। মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস কম থাকায় ছোট ছোট যানবাহনের কদর বেড়েছে। তিন চাকার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাত্রীরা দরকষাকষি করে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যাচ্ছেন। মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহন কম থাকায় ট্রেন স্টেশনগুলোয় যাত্রী সাধারণের ভির লক্ষ করা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে চলাচলকারী অফিসগামী কয়েক যাত্রী জানায়, তারা নিয়মিত গণপরিবহনে যাতায়াতের মাধ্যমে অফিস করেন। মহাসড়কে বাস না থাকায় তারা বাড়তি ভাড়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। অবরোধের সুযোগে অটোরিকশা চালকরা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছেন।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুর রহিম, নাজমুল হোসেন, আব্দুুর রহমান, রবিউল মিয়া জানান, তারা আগের ভাড়ায়ই চাকুরিজীবীদের সেবা দিচ্ছেন। ক্ষেত্র বিশেষে সামান্য পরিমাণ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। অবরোধে টাঙ্গাইল থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত শতাধিক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে বলে জানান তারা।
এদিকে, অবরোধের দ্বিতীয় দিনে জেলার সড়ক-মহাসড়ক ঘেঁষা এলাকাগুলোতে স্ব স্ব স্থানীয় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অবরোধ বিরোধী মিছিল করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা অবরোধ বিরোধী মিছিল শেষে বিভিন্ন পয়েণ্টে অবস্থান করছেন। কোন কোন এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউনও করা হয়েছে।
এছাড়া, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘœ করতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েণ্টে অবস্থান নিয়েও পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করছে। একই সঙ্গে মহাসড়কে র্যাব সদস্যরাও টহল দিচ্ছে।
অপরদিকে, অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কোন কর্মীকে কোথাও পিকেটিং বা অবরোধের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ করতে দেখা যায়নি।