ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জোড়া খুনসহ লুটের আতঙ্ক এখনও কাটেনি

সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলার ঘটনায় ভাংচুর, লুটের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলার ঘটনায় ভাংচুর, লুটের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলার পলাতক আসামীদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের নজর থাকলেও দূর্বৃত্তদের এ ঘটনায় রেহাই পায়নি। এ মামলার বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ইছামতী গ্রামের সালাউদ্দিন খান বাচ্চু গংদের সঙ্গে একই গ্রামের হায়দার আলী গংদের জমিজমা সংক্রান্ত নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনায় গত ১৯ অক্টোবর আলামিন (৩৫) ও তার বন্ধু আলামিন শেখকে (৩৬) কুপিয়ে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলা প্রধান আসামী মেরাজুলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে এবং অনান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ জোড়া হত্যাকান্ডের পর থেকে আসামী ও পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে দূর্বৃত্তরা কমপক্ষে ৩০টি বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দূর্বৃত্তরা। এমনকি পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে গরু, মহিষ ও টিভি, ফ্রিজ, মনিটর, স্বর্নালঙ্কার, ধান, চাল, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র লুটপাট করা হয় এবং অনেক বাড়ি এখন উজাড় পরিণত হয়েছে। এ জোড়া খুন ও লুটপাটের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। ক্ষতিগ্রস্থরা আক্ষেপ করে বলছেন, জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আদালতে বিচারও হবে। তবে তাদের লুটপাটের কর্মকান্ডের বিচার হবে কি?। অবশ্য বাদী পক্ষের লোকজন এ ঘটনা অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি একই ঘটনা নিয়ে নিহত, আহত, ভাংচুর ও লুটের ঘটনাও ঘটেছিল।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই এ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৫টি গরু ও ৩টি মহিষ ইতিমধ্যে উদ্ধার করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মালিকদের ফেরত দেয়া হয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিরাজগঞ্জ,লুট,অভিযোগ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত