সিরাজগঞ্জে জার্মান প্রবাসী দম্পত্তির উপর সন্ত্রাসী হামলায় সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাই গ্রামের জার্মান প্রবাসী দম্পতির উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে মিডিয়া হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী ওই দম্পতি এ অভিযোগ করেছেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জার্মান প্রবাসী রেজাউল হক মিয়া বলেন, উক্ত গ্রামের জমি নিয়ে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর মনির হোসেন মিয়ার সাথে বিরোধ চলছে। এ ঘটনায় মনিনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী জাবিনা মিয়া এ মামলায় হাজিরা দিতে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে এসেছি। সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার অপুর বাবা ও আমার বাবা মামাতো ফুপাতো ভাই। এ মামলার বিষয়ে মিমাংসার জন্য দুপুরে  ওই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। আমার স্ত্রী তাদের জন্য নাশতার ব্যবস্থাও করেন। দুপুরের দিকে মোটর সাইকেলযোগে শতাধিক মানুষ আমার বাড়িতে আসে এবং অপু সাহেব দ্বিতীয় তলার গোলঘরে গিয়ে বসেন। এ সময়  আমার উপর হামলা ও মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে টেনে হিচড়ে আমাকে উপরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মামলা তুলে নিতে নানা রকম হুমকি দেয়। এ ঘটনার সময় পুলিশের অবস্থান ছিল। পুলিশ না থাকলে আমাকে মেরে ফেলার সম্ভাবনা ছিল। পুলিশ আমাদের রক্ষার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী জার্মান নাগরিক জাবিনা মিয়া বলেন, আমার স্বামী রেজাউল হক মিয়াকে মারধোর করা দেখে এগিয়ে যাই এবং আমাকেও তারা মারপিট করে। কামারখন্দ থানার এসআই আহসান কবির শুভ জানান, ঘটনার সময় লোক সমাগম ছিল। সে সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল এবং সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।

এ বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, উভয়েই আমার আত্মীয় এবং আপন ২ ভাইয়ের মধ্যে গোলমাল। অনেকদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলছে। এরআগেও গোলমাল হয়েছে, শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছে। আমি ভাবছিলাম বসে মিমাংসা করি। ওনাকে বলে দাওয়াত নিয়ে ওনার বাড়িতে গেছি। উনি ও ওনার স্ত্রী গালাগালি ঝগড়াঝাটি করেছে। আমি উপরে বাসার ভেতরে বসে ছিলাম এবং জানিনা গ্রামবাসীর সঙ্গে ঝগড়া না কি হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখলাম এমন অবস্থা নিজের মানসম্মান থাকে না। এজন্য আমি চলে এসেছি। এখানে মারামারির কোন ঘটনা ঘটে নাই এবং তবে গ্রাম্য ঝসড়াঝাটি হয়েছে। ওই জার্মান মহিলা গালাগালি করেছে এবং ছবি তোলার চেষ্টা ও ধাক্কাধাক্কি করেছে। পরে বললাম আপনারা যা পারেন করেন, আমি এর মধ্যে নাই। তবে এ গন্ডগোলের বিষয়ে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর মনির মিয়াকে বড় ভাই রেজাউল হক মিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ানো হয়েছে।