চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে প্রায় অর্ধকিলোমিটার দীর্ঘ ১৯ বগির একটি ট্রেন ছেড়ে গেছে কক্সবাজার। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ১৫ বগির সঙ্গে অতিরিক্ত আরো ৪টি বগি নিয়ে রওনা হয় ট্রেনটি। আগামী ১১ নভেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন তিনি টিকিট কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করবেন। সেই ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার নবনির্মিত রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের জন্য সকালে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত হবেন। সেখানে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন উপলক্ষে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে উঠে এই রেলপথ উদ্বোধন করবেন। পরবর্তীতে স্টেশন চত্বরে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
সূত্র জানায়, ওইদিন প্রধানমন্ত্রী সকালে প্রথমে হেলিকপ্টারযোগে রামু যাবেন। রামু রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ চলাচলের জন্য উদ্বোধন করে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন নামবেন। কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে নেমে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। এরপর সেখান থেকে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ম্যানেজার প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে প্রধানমন্ত্রী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী ট্রেনে রয়েছে ১৫টি নতুন বগি। এই ১৫ বগির সঙ্গে আরো অতিরিক্ত ৪ বগি চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত¡াবধানে ছেড়ে গেছে। ১৫ বগিতে যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে অতিরিক্ত ৪ বগি থেকে যুক্ত করা হয়েছে। ট্রেনে থাকা একটি ইঞ্জিনে যদি কোন ত্রুটি দেখা যায় সঙ্গে সঙ্গে অন্য ইঞ্জিন যাতে লাগানো যায় সেজন্য নেওয়া হয়েছে আরও অতিরিক্ত তিনটি ইঞ্জিন। এই ট্রেনে রেলের ঊর্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াও পুলিশ, আরএনবি সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই ট্রেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইঞ্জিনসহ বগি সব ব্র্যান্ডনিউ। এগুলো আমদানি করা হয়েছে কোরিয়া থেকে।