নকলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও ভাতা বিতরণ
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১২ | অনলাইন সংস্করণ
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নকলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও ভাতা বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার জেলার নকলাস্থ ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড এর মিলনায়তনে সনদপত্র ও ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণায়লয়ের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় ‘শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশি যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প’-এর অর্থায়নে এবং ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড শেরপুরের ব্যবস্থাপনায় ও আয়োজিত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নূরুজ্জামান চৌধুরী।
শেরপুর ই-লার্নিং ট্রেনিং সেন্টার শেরপুর ব্রাঞ্চের কো-অর্ডিনেটর রফিকুল ইসলাম তৌফিক-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মো. বেলায়েত হোসেন আকন্দ। এছাড়া শেরপুর ই-লার্নিং ট্রেনিং সেন্টার শেরপুর ব্রাঞ্চের সহকারী কো-অর্ডিনেটর ফারহানা আক্তারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ৪০ জন আত্মপ্রত্যয়ী যুবক-যুবনারী উপস্থিত ছিলেন।
ই-লার্নিং ট্রেনিং সেন্টার শেরপুর ব্রাঞ্চের কো-অর্ডিনেটর রফিকুল ইসলাম তৌফিক জানান, এই প্রকল্পের আওতায় বেকারত্ব দূরীকরণে ও স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতি ব্যাচে ৪০ জন করে শিক্ষিত যুবক-যুবনারী প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ভর্তি করা হয়। প্রশিক্ষণের শুরুতেই প্রশিক্ষার্থীদের মাঝে স্ব স্ব ল্যাপটপ বহন করার জন্য উন্নত মানের একটি করে ব্যাগ, কলম ও নোট খাতা প্রদান করা হয়।
এতে প্রশিক্ষণার্থীদের ৩ মাসে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ৭৫টি ক্লাস করানো হয়। আর প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও যাতায়াত ভাতা বাবদ প্রতিজনে ১৩ হাজার ১০০ টাকা করে (ভ্যাট/ট্যাক্স বাদে) প্রদান করা হয়। এর অংশ হিসেবে বুধবার ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেডের ফ্রিল্যান্সিং প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের মাঝে সনদপত্র ও যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো জানান ই-লার্নিং ট্রেনিং সেন্টার শেরপুর ব্রাঞ্চে বর্তমানে তৃতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ চলছে।
শিক্ষিত যুবক-যুবনারীদের বেকারত্ব দূরকরে তাদেরকে আত্বনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে এই ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ (ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সুশীলজন মনে করছেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর (গ্রেড-১) এর মহাপরিচালক শেরপুরের কৃতি সন্তান মো. আজহারুল ইসলাম-এঁর সুদৃষ্টির কারনেই শেরপুরের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবনারীদের ভাগ্য পরিবর্তনের পথ সুগম হয়েছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।