রপ্তানির জন্য গাজীপুর থেকে চট্টগ্রাম আসছিল ৮ হাজার ৯৯৯ পিস জিন্স প্যান্ট। ডিপোতে জমা করার কথা থাকলেও সেগুলো নিয়ে পালিয়ে যান কাভার্ডভ্যান চালক। সেই জিন্সপ্যান্ট সহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার (৬ নভেম্বর) নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার রুবি গেট থেকে চালকসহ চারজনকে ধরে ফেলে র্যাব। এসময় রপ্তানিযোগ্য ৪ হাজার ৩শ’ পিস জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে জব্দ করা হয়েছে চুরির কাজে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যান দুটিও।
আটকরা হলেন— কাভার্ডভ্যান চালক মিজানুর রহমান (২০) ও তার সঙ্গী জহিরুল ইসলাম (৩৮), মো. রুবেল (৩০) এবং মেহেদী হাসান নয়ন (২০)। এরমধ্যে মিজানুর রহমান নোয়াখালীর সুধারাম থানার মজিবুর রহমানের ছেলে, জহিরুল ইসলাম ভোলার দৌলতখান কলাকুপার মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে, রুবেল ভোলা সদরের উত্তর ইলিশার মো. আজাদের ছেলে এবং মেহেদী কক্সবাজারের মহেশখালী বড়ডেইল এলাকার আব্দুল শুক্কুরের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ২ নভেম্বর গাজীপুরের অনন্ত ক্যাজুয়াল ওয়্যার লিমিটেড থেকে ৮ হাজার ৯৯৯ পিস রপ্তানির পোশাক (প্যান্ট) নিয়ে চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডের কেডিএস ডিপোর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কাভার্ড ভ্যান চালক মিজানুর রহমান। পরেরদিন ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড কেডিএস ডিপোতে পৌঁছে গাড়িটি। এরপর কাভার্ডভ্যান চালক মালামালের কাগজপত্র ডিপোতে জমা দেন। এরপর তিনি গাড়ি নিয়ে আর ডিপোতে প্রবেশ না করে কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে অভিযানে নামে র্যাব। ছায়া তদন্তের পর গত ৬ নভেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে পোশাকের চালানটি আটক করে র্যাব। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যান থেকে অন্য আরেকটি কাভার্ডভ্যানে পোশাকগুলো (প্যান্ট) স্থানান্তর করা হচ্ছিল। অভিযানে সে সময় ৪ হাজার ৩শ’ পিস প্যান্ট পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৪জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির দায় স্বীকার করেছে। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ৪ হাজার ৩শ’ পিস রপ্তানিযোগ্য প্যান্ট উদ্ধারের পাশাপাশি ২টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত প্যান্টগুলোর আনুমানিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। আটক চারজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।