গোপালগঞ্জে ৩৫ টি জাতের ধান নিয়ে ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে আমান মৌসুমের চাষ উপযোগি রোপা আমন ধানের জাত মুল্যায়নে ৩৫ টি জাতের ধান নিয়ে ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে কৃষক তাঁর কৃষক তার জমির জন্য উপযোগি এবং পছন্দের ধানের জাত বেছে নিতে পারছেন।
ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( বশেমুরবিপ্রবি) গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার কাজির বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে এ ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া স্থাপন করেছে। এখানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি ধান ৫১, ৫২,৭০,৭১,৭২,৭৩,৭৪, ৭৬,৭৭, ৭৮,৭৯, ৮০,৮৭ , ৯৩,৯৪,৯৫, সুগন্ধি ধানের জাত ব্রি ধান ৯০, বি আর ১১, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা ধান ১৭, ২২, ২৩ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে প্রচলিত স্বর্ণা, সারথী ১৫, সুপ্রীম স্বর্ণালী ধান ২, সারথী ১৪ অ্যারোমেটিক, সারথী ১৪ নর্থ অ্যারোমেটিক, সুবর্ণ ৭, এলটিডিএইচডি-২৩-১,এলটিডিএইচডি-২৩-২,ইস্পাহানি -৬, ইস্পাহানি -৯, বিইউ ধান ১, এএস(১০০-০০১) নিয়ে সর্বমোট ৩৫ টি ধানের জাত এই ক্রপ ক্যাফেটেরিয়ার উৎপাদিত হয়েছে।
আজ ১২ নভেম্বর রবিবার এই ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া স্থানীয় কৃষক ও কৃষানীদের নিয়ে এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বশেমুরবিপ্রবির কৃষি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিলহাস আহমেদ জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্য ড. মো: জাহিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মাফরোজা আক্তারসহ আরো অনেকে মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন। এসময় উপস্থিত কৃষক ও কৃষানীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, এ ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া স্থাপন অত্যন্ত সময় উপযোগি পদক্ষেপ। এখান থেকে চাষীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন ফসলটি তার জমির জন্য উপযোগি। এছাড়া এসব ধানের গুনাগুন এবং এর ফলন সম্পর্কেও এখান থেকে পূর্ণাঙ্গ ধারনা পাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিটিউট, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্য ড. মো জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা উনষ্টিটিউট যে সকল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে তার সব জাত সব ধরনের জমির জন্যে উপযোগি নয়। এই ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া কৃষকদের তার জমির জন্য উপযোগি জাত নির্বাচনে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
বশেমুরবিপ্রবির কৃষি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিলহাস আহমেদ জুয়েল বলেন, এই ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করে আমরা কৃষকদের মাধ্যমেই জাতগুলোর মূল্যায়ণ করাতে পেরেছি। এসব জাতের মধ্যে থেকে তারা সনতনী বিভিন্ন ধানের জাতের গুনাগুন সম্পন্ন অনেক হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত খুজে পেয়েছে। আগামীতে এই ক্রপ ক্যাফেটোরিয়ার সঙ্গে আরো বেশি কৃষককে সম্পৃক্ত করতে পারলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষক লাভবান হবেন।