ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরে গ্যাস সঞ্চালন লাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রংপুরে গ্যাস সঞ্চালন লাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রংপুর অঞ্চলে স্বপ্নের গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ মঙ্গলবার সকাল ১০:৪৫ মিনিটে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করেন। বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর সঞ্চালন পাইপ লাইন উদ্বোধন উপলক্ষে পীরগঞ্জ নিয়ামতপুর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধন শেষে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হাসানের সভাপত্বিতে বক্তব্য রাখেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, অন্যান্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানী খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) হুমায়ুন কবির রংপুর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আবু জাফর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) ব্যবস্থাপনা হাবিবুল হাসান রুমি, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, জিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রূখসানা নাজমা ইসহাক, পশ্চিম অঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, জিটিসিএল মহা ব্যবস্থাপক, আইনুল কবির, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনের প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আরিফুল ইসলাম, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সর্দার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রমুখ।

রংপুর অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রীয় দুটি কোম্পানি কাজ করছে। সঞ্চালনের দায়িত্বে রয়েছে জিটিসিএল, আর বিতরণ অংশের প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল)। সঞ্চালন কোম্পানি বগুড়া থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ করেছে। তবে বিতরণ লাইনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এর সুবিধা পাচ্ছেন না। কোম্পানিটি বিতরণ লাইন নির্মাণের জন্য পৃথক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় থাকছে ১০০ কিলোমিটার পাইপ লাইন। এর মধ্যে রংপুর শহরে ৪৪ কিলোমিটার, পীরগঞ্জে ১০ কিলোমিটার, নীলফামারী ও উত্তরা ইডিজেড এলাকায় ৪৬ কিলোমিটার। বিতরণ লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে।

রংপুরের বধুমাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল গ্যাস সরবরাহ। করোনার কারণে বিলম্বিত হয়েছে প্রকল্পের কাজ। বহুল কাঙ্খিত উত্তরের এই গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনটির ডিপিপিতে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ছিল। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও করোনার কারণে যা শেষ হয় ২০২৩ সালের জুনে। প্রকল্পের আওতায় (বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর) ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার সঞ্চালন পাইপ লাইন স্থাপন করা হবে। ১০০ এমএমএসসিএফডি সিজিএস (সিটি গেট স্টেশন) ৫০ (রংপুর) এবং ২০ (পীরগঞ্জ) এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন টিবিএস (টাউন বর্ডার স্টেশন) স্থাপন করা হবে। শিল্প কারখানার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। যে অঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহ যত আগে নিশ্চিত হয়েছে সেই অঞ্চলে শিল্প তত এগিয়ে রয়েছে। রংপুর অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় শিল্পের প্রসার নেই বললেই চলে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করেন গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই রংপুর অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপনে সাহস দেখায়নি। এতে বিশাল অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ পেলে রংপুর অঞ্চলেও শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে।

রংপুর,গ্যাস,উদ্বোধন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত