ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক প্রবীণ শিক্ষাবিদ বিশিষ্ট গবেষক ও প্রাবন্ধিক ড. হাবিবা খাতুন এঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক, শামসুন্নাহার হলের সাবেক প্রভোস্ট, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের জার্নালের সম্পাদক ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে গ্যালারী-২ এ আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান আলোচক বিশিষ্ট লেখক ড. হাবিবা খাতুন বলেন, জীবনের প্রতিটি ধাপে জ্ঞানের অন্বেষণ করতে হবে। জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ লালন করতে হবে। জ্ঞানের অন্বেষণের মধ্যেই জীবনের সফলতার চাবিকাঠি রয়েছে। শিক্ষকরা যে পথ দেখান, সে পথে ছুটতে হবে। পৃথিবীকে জানতে হবে। শিক্ষকদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হবে। জীবনে পরিশ্রমি, ত্যাগি হতে হবে। ভালোটুকু গ্রহণ করলে মন্দ এমনিতে দূর হয়ে যাবে। অন্যকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে। তবেই তুমি বড় হতে পারবে, ইতিহাস ও সভ্যতা এই শিক্ষাই দেয়।
ড. হাবিবা খাতুন আরও বলেন, মায়েরা জাতিকে জাগাতে পারে, যা আমরা ১৯৫২ ও ৭১ সালে দেখেছি। মেয়েরা সভ্যতার উন্নতিতে অসাধারণ ভ’মিকা পালন করেছেন। মেয়েরা পরিবার, জাতিকে আলোকিত করতে পারে। মেয়েদের বিষয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত যত্নশীল। তিনি বাংলার মেয়েদের বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও বলেন, নামাজের মাধ্যমে জ্ঞান আসে। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। কট্রর না হয়েও ধর্মকর্ম করা যায়।
ইতিহাস বিভাগের সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ’র সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাজিফা খাতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখার আগ্রহ যদি থাকে কেউ ঠেকায়ে রাখতে পারে না। জ্ঞানকে লালন ও ধারণ করতে হবে। তাহলে ভীতরের স্ফ’লিঙ্গ বের হয়ে আসবে। ড. হাবিবা খাতুন সমাজ বদলের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলিয়েছেন বলেই তিনি সফল। জাতির মডেল। তিনি আরও বলেন, জীবনে ষ্ট্রাগল করলে শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়ে। জীবনে বড় হওয়ার জন্য যা খুব প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল। সভায় আরও বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক শফিকুর রহমান ও রাহেনা বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষার্থী সঞ্চিতা রানী।