গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে যুবলীগ নেতার রগ কেটে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারীসহ আরো দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৩ রংপুর।
আজ বুধবার দুপুরে রংপুর র্যাব ১৩ এর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিঙয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন গ্রেফতার মারুফ মিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জাহিদুল ইসলামকে হত্যার ছক তৈরি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে জাহিদুলকে শাখামারা ব্রিজের ওপর নিয়ে আসেন মারুফ। পরে তারই পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকে ওত পেতে থাকা তার সহযোগীরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে জাহিদুলকে গুরুতর জখম করেন। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমটেøক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মারা যান জাহিদুল।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম জানান, এই যুবলীগ নেতা জাহেদুল হত্যাকান্ডের আসামীরা হলেন সুন্দরগঞ্জর পূর্ব শিবরাম গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জয়নাল মিয়া (৩৪), পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মারুফ মিয়া (২৫) এবং একই এলাকার মৃত মুসলিম বেপারীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৫০)। এ ঘটনায় অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে বলে জানান তিনি ।
