চাঁদপুরে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড কর্তৃক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও সেলিব্রেশন প্রোগ্রাম ব্যাপক সংখ্যক বীমা কর্মী ও গ্রাহকের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।
শনিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের দ্বিতীয় তালায় এলিট চাইনিজ রেস্টুরেট এন্ড পাটি সেন্টার এ প্রশিক্ষন কর্মসূচি ও সেলিব্রেশন প্রোগ্রাম ব্যাপক সংখ্যক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ভাল কাজের পুরুস্কার হিসেবে চাঁদপুরের বীমা কর্মী ও কর্মকর্তাদের মাঝে দক্ষতা অর্জনের জন্য একজন চাঁদপুর অফিসে কর্শরত নারী কর্মকর্তা পান্না আক্তারকে মোটর সাইকেল উপহার ও অন্যান্যদের মাঝে ডিনার সেট ও সাটিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর হিসেব অনুযায়ী নভেম্বর-ডিসেম্বর এই ২মাস বীমার মৌসুম। এ ২ মাসে যারা বীমার টার্গেট অনুযায়ী তাদের নির্ধারিত লক্ষ মাত্রায় পৌছে প্রিমিয়াম জমা দিতে পারবে সে অনুযায়ী চাঁদপুরে (দশ)’১০টি মোটর সাইকেল চাঁদপুরে দেওয়া হবে বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন প্রধান অতিথি এস.এম.নূরুজ্জামান।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ সন্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, চাঁদপুর ডট টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ শওকত আলী, দৈনিক প্রভাতী কাগজ পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও সেটেলাইট টেলিভিশন ইনডিফেন্ডটেন এর জেলা প্রতিনিধি মো: আব্দুল আওয়াল রুবেল। চাঁদপুর শাখার অফিস ইনচার্জ আলহাজ্ব খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে ও চাঁদপুর শাখার ইউএম, পান্না আক্তারের সনচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সৈয়দ মাসকুরুল হক, বি.ডি.এম.ডি এবং হেড অব সিটি প্রজেক্ট মো: মনির হোসেন,জিএম (উন্নয়ন), গাজী মোহাম্মদ শাহাজান এজিএম, আলী আজগর সরকার ইউএম, আবদুল মোতালেব ইউএম, মো: আলী হোসেন ভুঁইয়া ইউএম, ও নুসরাত জাহান ইশা ইউএম, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড।
অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল,বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স লিমটেডের ড: এসএম নূরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় আমাদের ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নভেম্বর-ডিসেম্বর হচ্ছে, ইন্স্যুরেন্সের মৌসুম। তাই আমার বিশ্বাস আমাদের কর্মীরা এখন থেকে তাদের আয় বাড়ানোর জন্য পূর্বের চাইতে আরো বেশী কাজের গতিবাড়িয়ে দিয়ে কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত গ্রাহকের বীমা দাবী পূরনের জন্য আমাদের ফান্ড রয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠান বেকারদের এবং সকলের হাফটাইম ও ফুলটাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন,আগামী ২৪সালে এ জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে সিনিয়রদেকে ওমরা হজ্ব করানো হলে বলে তিনি ঘোষনা দেন। এ নভেম্বর মাসে চাঁদপুর প্রথম স্থানে রয়েছে বলে আমরা তাদেরকে ডিনারসেট উপহার দিলাম।
তিনি এক গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, এ দেশে মোট ৩৫টি বিভিন্ন নামে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী রয়েছে। এদের মধ্যে ১০টির অবস্থা খারাপ বলে তারা গ্রাহকের বীমা পরিশোধ করতে সমস্যা হচ্ছে।
আমরা সেই ১০টার মধ্যে নাই। আমাদের অবস্থা অত্যান্ত ভাল। আমরা ৭ কর্মদীবসের মধ্যে বীমা মৃত্যু দাবী পরিশোধ করে যাচ্ছি। আগামী ৩০ সাল পর্যন্ত গ্রাহকের বীমা পরিশোধ করার মত আমাদের ফান্ড রয়েছে এবং সরকার আমাদের সার্বক্ষনিক তদারকির মধ্যে রেখেছে। বিগত দিনে ২১ কোটি টাকা বীমা দাবী অনলাইনে ফেরত দিতে সক্ষম হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান।
প্রধান প্রশিক্ষন ও গবেষক মো: তোফাজ্জেল হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিটি মানুষকে বড় হতে হলে একটি বড় স্বপ্ন থাকতে হবে। ইয়াং বয়সে আমাদের সকলকে ইবাদত করতে হবে। তা’হলেই খোদার নৈকট্য লাভ করা যাবে। কৃষক ৩মাস পরিশ্রম করে চাষ করে ,আর ১ বৎসর বসেবসে খেতে পারে। তাই ইয়াং বয়সে পরিশ্রম করলে সফলতা পাওয়া যাবে। এ সফরতা পাওয়া জন্য পরিশ্রমকে আমরা যেন ভয় না পাই। পরিশ্রম করলে মানুষ মারা যায় না, আয়েশ করলে মানুষ খুব অল্প বয়সে মারা যায়। তাই সবাইকে ইয়াং বয়সে পরিশ্রম করতে হবে। সঠিক বয়সে পরিশ্রম করলে অনেক অর্থ উর্পাযন করতে পারা যায়। তিনি আরো বলেন, যে কোন কাজকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগালে আমরা লক্ষ মাত্রায় পৌছতে পারবে। আমাদের সকলকে উত্তম চরিত্র অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, এ জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের মাধ্যমে আপনারা অনেক অর্থ উপার্যন করা সম্বব। আমাদের সকলকে ১৮ বছর বয়সে কাজ করতে হবে। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ড বারেক ওবামার মেয়েও কাজ করছে। কাজ করতে কোন লজ্জা নেই। কাজের মাধ্যমে আমাদেরকে জীবনের পরিবর্তন করা অত্যান্ত সহজ উপায়। তিনি জানান, যে সকল গ্রাহক ডেগুতে আক্রান্ত হয়েছে,তাদেরকে এ বীমা কম্পানী প্রায় ৩ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করেছে। এখানে স্বাস্থ্য বীমা, শিশু বীমা, শিক্ষা বীমা ও পেনশান বীমাকে উত্তম বীমা হিসেবে অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। শুধু মাত্র বীমা করলে হবে না’ বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রিমিয়ামের টাকা দিয়ে চালু থাকতে হবে। বীমা কর্মীকে দক্ষ হতে হবে এবং দক্ষতার সাথে কাজ করলে একজন বীমা কর্মীর মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্বব।