বাউফলে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে গৃহবধূর হাত-পা বেধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৮নভেম্বর) উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছোটডালিমা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাায়, মরহুম গনি রাঢ়ীর দুই ছেলে সুলতান রাঢ়ী ও রত্তন রাঢ়ী দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরমধ্যে একাধিকবার সালিশ মিমাংসায় বসা হয়েছে। কিন্তু কোন সালিশ সুলতান রাঢ়ীকে সমাধান দিতে পারেননি।
ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে রত্তন রাঢ়ী তার ভাগের জায়গায় সুপারি গাছের চারা লাগাতে গেলে তাকে সুলতান রাঢ়ী ও তার স্ত্রী এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে সুলতান রাঢ়ী, তার স্ত্রী আমেনা বেগম,ছেলে চুন্নু রাঢ়ী, ছালাম রাঢ়ী, ছেলের বৌ হেপি বেগম, নাতি ইমন, সবাই মিলে তাদেরকে মারধর শুরু করেন। এরপর তারা রত্তন রাঢ়ীর স্ত্রী কহিনুর বেগম(৫৫) কে টেনে হেঁচড়ে ঘরে নিয়ে বন্দি করে রাখেন এবং গামছা দিয়ে হাত পা বেধে অমানুষিক নির্যাতন করেন। প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে সুলতান রাঢ়ী তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মামলা দিবে বলে হুমকি দেন। উপায়ন্তর না পেয়ে তারা পুলিশকে খবর দেন। প্রায় দুই ঘন্টা পরে পুলিশ এসে হাত পা বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন।
প্রতক্ষদর্শী সাহিনুর বেগম বলেন, আমি দেখেছি চুন্নু রাঢ়ী এসে আমার চাঁচি অর্থাৎ রত্তন রাঢ়ীর স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এবং সে পড়ে যান। এরপর তাকে চুল ধরে টেনে হেঁচরে ঘরে নিয়ে আটকে মারধর করেন।
সুলতান রাঢ়ী ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমরা শুধু বেধে রেখেছি কোন মারধর করিনি এতে যদি আমার জেল ফাঁস হয় হোক। নাতি ইমন বলেন, আমি কিছু করিনি আমার মা, চাচি ও দাদী মিলে তাকে বেধে রেখে মারধর করেন।
বাউফল থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এসে তাকে হাত পা বাধা অবস্থায় পেয়েছি এবং সুলতান রাঢ়ী তার ঘরে বন্দী করে রেখেছেন অনেক মারধর ও করেছেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে অসুস্থ অবস্থায় বাউফল হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনসার্স এটিএম আরিচুল হক বলেন, আমি ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্তে সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।