নোয়াখালীতে বিএনপির মিছিলে আ.লীগের হামলা ও গুলির অভিযোগ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৫
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:২১ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগে হরতালের সমর্থনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজি মফিজ নেতৃত্ব বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলা ও গুলির অভিযোগ উঠেছে সরকার দলের নেতাকর্মির বিরুদ্ধে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল দিকে উপজেলার আজিজপুর পোলের গোড়া এলাকার ফেনী টু নোয়াখালী মহাসড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হহয়েছে ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজি মফিজ জানান আহত নেতাকর্মিরা হচ্ছে, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আনোয়ার হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক রাশিদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, মো. মহিন উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, অন্তর, মোহাম্মদ আলম, আবু সুফিয়ান, রুবেল, বাদশা, ইমরান হোসেন, মোশাররফ হোসেন, মনির হোসেন, সিফাত আবুল কাশেম, ইকবাল হোসেন, সবুজ, মো. রুবেল, মো. শফিক, মোজাম্মেল হোসেন, মো. রাব্বি সহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে ।
সেনবাগ পৌরসভা বিএনপির সদস্য ভিপি মফিজুল ইসলাম বলেন, হরতালের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মহাসড়কে ওঠার পর কয়েকশ গজ অতিক্রম করতেই রাস্তার মাথার দিক থেকে কয়েকটি সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে আওয়ামী লীগ, যুবলী ও ছাত্রলীগের একদল কর্মি আকস্মিক মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় মিছিল লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে কমপক্ষে ২০জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৫ জন ছররা গুলিবিদ্ধ হন।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, হামলার ঘটনার পর আহত নেতাকর্মিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে, ফার্মেসীতে এবং বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশি হয়রানি এড়াতে বাসাবাড়িতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাবিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ওরফে ভিপি মোহন বলেন, বিএনপির মিছিলে হামলা কিংবা গুলির কোন ঘটনা তার জানা নেই।
সেনবাগ থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, মিছিলে গণ্ডগোলের খবর শুনেছেন ঘটনার অনেক পরে। পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় দু গুফ্রের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সেখানে গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নয়। আহত কাউকেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করে।