ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে নবান্ন উৎসব 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে নবান্ন উৎসব 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় রবির গীতাঞ্জলি স্টুডিও থিয়েটারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আয়োজনে এ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ইয়াতসিংহ শুভ'র সভাপতিত্বে এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। তিনি বলেন, রবির সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ইতিমধ্যে মানুষের নজর কেড়েছে।

বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায় রবির নিবেদন মানুষের অন্তর স্পর্শ করছে। এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি। বাঙালি সংস্কৃতির সকল অংশেই নবান্নের প্রতিফলন আছে। বাংলা সাহিত্যেও নবান্নের বিস্তর প্রতিফলন পাওয়া যায়। পল্লি কবি জসীমউদ্দীন এবং জীবনানন্দ দাশ নবান্নকে চির অ¤øান করে গিয়েছেন। তিনি বলেন, যতদিন বাঙালি থাকবে বাঙালি সংস্কৃতি থাকবে নবান্নের আনন্দ আমাদের মাঝে থাকবে। আমরা সকল ঋতুতেই নতুন নতুন বৈচিত্র্য খুঁজে পাই। প্রত্যেক ঋতুতেই সংকল্প করতে হবে। নবান্নে মানুষ অনেক স্বপ্ন দেখে- নতুন পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখে। আপনাদেরও সেই স্বপ্ন দেখতে হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির বাংলাদেশের সূচনা করেন তা ব্যাহত করতে তৎপর একাত্তরের পরাজিত শক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশেও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে দেখেছি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। এরসাথে বিদেশি ষড়যন্ত্রও আছে। রবির নবান্ন উৎসব থেকে ব্রত নিতে চাই-১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করেছিলেন, তেমন করে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমরা নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের সকল ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করবো। নবান্ন উৎসবে নৃত্য ও গীত পরিবেশন করেন রবির সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীগণ। এ সময় রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, সংগীত বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

উৎসব,নবান্ন,পরিবেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত