রংপুরে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদকে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে এবং বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রংপুর জেলা শাখা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিটিএ রংপুর জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বিটিএ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহম্মদ আলী’র সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ লুৎফর রহমান, সদর উপজেলার সভাপতি আয়শা সিদ্দিকা, সাধারণ সম্পাদক আখিনুর রহমান, বদরগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মোস্তাক আহমেদসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।

মানববন্ধন শেষে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় স্মারকলিপি গ্রহন করেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।

মানববন্ধন ও স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত বিটিএ সংগঠনটি ১৯২১ সাল থেকে ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনসহ গুণগত শিক্ষা প্রবর্তনের লক্ষ্যে বিরামহীন সংগ্রাম করে আসছে। যার বর্তমান সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ। শিক্ষকরা সমাজের বিবেক। শিক্ষকদের সম্মান সর্বো”চ। তাদের তুলনা কারও সঙ্গে চলে না। অথচ সেই শিক্ষকগণ বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ আজ ম্যানেজিং কমিটি/গভর্ণিং বডির যাতাকলে পিষ্ঠ। তাঁদের অন্যায়, অবিচার, দূর্ণীতিসহ সবকিছু মাথা পেতে মেনে নিতে না পারার কারণে আজ সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষকগণ সম্মান নিয়ে তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হিমসিম খা”েছন। এমনি পরি¯ি’তিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)'র সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানাধীন সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম অনু’র বিধিবহির্ভূত ও অনৈতিক কর্মকান্ড প্রশ্রয় না দেয়ায় ম্যানেজিং কমিটি তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করতেন এবং সর্বশেষ তাঁকে সরিয়ে মোটা অঙ্কের আর্থিক লাভের প্রত্যাশায় পুণরায় অধ্যক্ষ নিয়োগ দেবার লক্ষ্যে যড়যন্ত্রমূলকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

অপরদিকে শেখ কাওছার আহমেদের বাড়ি গোপালগঞ্জ হবার কারণে বিএনপি-জামাতের আদর্শে বিশ্বাসীরা তাঁকে এবং তাঁর নীতি-আদর্শকে মেনে নিতে পারে না বলেই তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে বার বার বাধাপ্রাপ্ত হচেছন। অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ কিগত ২০০১ সাল বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন বিনা কারণে তৎকালীন এমপি সালাউদ্দিন আহমেদের নির্দেশে কোন বিধি-বিধান না মেনে বিদ্যালয় থেকে সরাসরি বরখাস্ত করায় তিনি ৭ (সাত) বছর চাকরিচ্যুত ছিলেন।

তাই সারাদেশের সাড়ে পাঁচ লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিভাবক হিসেবে (প্রধানমন্ত্রী) আপনার নিকট বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ এর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করতঃ তাঁকে তাঁর স্ব-পদে পুনঃর্বহালের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের আকুল আবেদন করা হয়।