ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গৌরীপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাউল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

গৌরীপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাউল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সহনাটি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মিলন মিয়া শিপনের বিরুদ্ধে সুবিধাভোগীদের মাঝে ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৭ কেজি ৫০০ গ্রাম করে চাল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গৌরীপুর খাদ্য গুদাম থেকে প্রত্যেক কার্ডধারীর জন্য ৩০ কেজির বস্তা দেওয়া হয়। কিন্তু এই ডিলারের গোডাউনে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। গৌরীপুর খাদ্য গুদাম থেকে ৩০ কেজির সেলাই করা বস্তা নিয়ে প্রত্যেক বস্তা খুলে মিটারে মেপে ২৭ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাউকে তোয়াক্কা না করেই তদারক কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওজনে কম চাল বিতরণ করেছেন সংশ্লিষ্ট ডিলার। এতে কার্ডধারীর সংখ্যা রয়েছে ৬৭২ জন।

স্থানীয় একাধিক কার্ডধারী জানান, গুদাম থেকে সেলাই করা বস্তা আনছে ঠিকই, কিন্তু আমাদেরকে বস্তা খুলে মেশিন দিয়ে মেপে ২৭ কেজি করে চাল দিচ্ছে। তিন কেজি করে কম দিচ্ছে। সরকার একজন তদারক কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। তার সামনেই চাল কম দিচ্ছে। সে কিছুই বলে না।

স্থানীয় মমতা বেগম বলেন, আমরা ৩০ কেজি চালের জন্য ৪৫০ টেহা দিছি, এহন আমরারে ২৭ কেজি করে দিতাছে। টেহা দিয়া চাউল কিনতে আইছি কম নিতাম কেরে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম। কার্ডধারীরা গিয়ে আমাকে কইছে ডিলার চাল কম দিতেছে, আমিও এসে দেখলাম চাল ২৭ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। তদারকি কর্মকর্তার সামনে চাল কম দিতাছে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, গরীবের চাল যেন ফেরত দেয়।

এ বিষয়ে তদারক কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমি আসলে তারা এ কাজটি করছে, আগেই করছে।

জানতে চাইলে ডিলার মিলন মিয়া শিপন বলেন, কেউ কি আর কম নিতে চায়। আপনি কই আছেন আপনার সাথে দেখা করব।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, আমাকে ডিলারের নাম দিন, সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ,বিতরণ,চাউল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত