সৈয়দ আশরাফের আসনে যিনি হচ্ছেন নৌকার মাঝি

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসন। ১৯৯১ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চারদলীয় জোটের মাওলানা আতাউর রহমান খান। পরবর্তীতে ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

পরে, ২০১৯ সালে ৩ জানুয়ারি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু হলে ঐ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন তার ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন তিনি।

বেশ কিছুদিন ধরে এই আসনে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে দলীয় মনোনয়নের আশায় তৃণমূল পর্যায়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সাংসদের চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। তাঁরা দুজনেও দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে নৌকা পাবার আশায় কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন।

এছাড়াও, দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়ে নৌকা পাবার দৌড়ে আলোচনায় রয়েছেন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। সাবেক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেঝো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন।

দলীয় সভানেত্রী এবারের মনোনয়নের বেলায় তার ঘোষণা অনুযায়ী তৃণমূলে জনপ্রিয়দের প্রাধান্য দিবেন বলেছেন। এ বিষয়টিই মূল ভরসার জায়গা। এমনটিই জানিয়েছেন মশিউর রহমান হুমায়ুন এবং সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।

দলের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্লীন ইমেজের প্রার্থীকে প্রাধান্য দিলে আমিই মনোনয়ন পাবো বলে জানান অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী।

সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেন, আমার প্রয়াত ভাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিই আমার মূল শক্তি। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের মানুষ আমাকে ভালবাসে। এর প্রমান আমি ইতিমধ্যে পেয়েছি। আবার যদি মনোনয়ন পাই তাহলে অভিমান সরিয়ে রেখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করবে, এটা আমার বিশ্বাস।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সদর উপজেলার আয়তন ১৯৪ ও হোসেনপুর উপজেলার আয়তন ১২১ বর্গকিলোমিটার। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮ শত ৫০ জন।