কক্সবাজারের উখিয়ায় ও পেকুয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ স'মিল উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বনবিভাগ। একই দিন শতাধিক সাদা বক উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়।
সূত্রে জানা যায়,উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মাছকারিয়ার বিলে অবৈধভাবে ফাঁদ পেতে বক শিকার করে পাখি শিকারীদের দল। প্রতিনিয়ত বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাল বসিয়ে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরবরাহ করা হয় বলে জানা যায়। শিকারের কাজে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতাও নেন তারা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বনবিভাগ। অভিযানের নেতৃত্ব দেন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ শফিউল আলম।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, প্রায়সময় উখিয়ার মাছকারিয়ার বিলে অবৈধভাবে পাখি শিকার করে দুষ্কৃতকারী ধরনের পাখিখেকোরা। শীত মৌসুমে তাদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। বনবিভাগ কর্তৃক উদ্ধার করা পাখিগুলো একইদিন দুপুরে উখিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে খোলা আকাশে অবমুক্ত করা হয়। শিকার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হবে।
অপরদিকে রত্নাপালং এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বনজ কাঠ জব্দ সহ স'মিল উচ্ছেদ করা হয়। উখিয়া থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সহযোগিতায় অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদ। অভিযানকালে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম সহ থানা পুলিশের টিম উপস্থিত ছিলেন।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ শফিউল আলম জানান, বনের কাঠ চিরাই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে একটি চক্র। তাদের স্থাপন করা অবৈধ স'মিল উচ্ছেদ পরবর্তী নিয়মিত বন মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে পেকুয়ায় অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান পালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। বৃহস্পতিবার আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারস্হ ১০টি অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করেন।এই সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ ও করাত কলের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। বিকল করে দেওয়া হয়েছে করাত কলের মেশিন।জব্দকৃত মালামাল ও কাঠ বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এই সময় করাত কলের মালিকগণ পালিয়ে যায়।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, পেকুয়া বাজার অবৈধ ১০টি করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান করেছি। অভিযান পরিচালনার সময় মালামাল ও কাঠ জব্দ করেছি।করাতকলের মালিকদের বার বার নোটিশ দেওয়ার পর ও লাইসেন্স করেনি।
করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী করাতকল পরিচালনা করার জন্য লাইসেন্স নিয়া বাধ্যতামূলক।
পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ বলেন,আমরা করাত কলে অভিযানে এসে একটিতেও লাইসেন্স পাইনি। বনবিভাগ বারবার নোটিশ দেওয়ার পর করাত কলের মালিকগণ লাইসেন্স করেনি।কাঠ ও মালামাল জব্দ করেছি। মেশিন গুলো বিকল করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।