সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া মানবপাচার চক্রের শীর্ষ এক সদস্য সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের দেয়া তথ্য মতে মালয়েশিয়াগামি ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫৭ জন রোহিঙ্গা।
শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পূর্ব পাশে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
গ্রেপ্তার মানবপাচারকারি চক্রের ৪ সদস্য হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়াপাড়ার আমজল হোসেনের ছেলে মো. ইয়াছিন (২৩), দরগারছড়া এলাকার জলু সওদাগরের ছেলে মো. জুবায়ের (৩৫), উত্তর লম্বরী এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে নাজির হোছন (৬১), নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে রামিমুল ইসলাম রাদীদ (৩১)।
উদ্ধার হওয়া মালয়েশিয়াগামিদের জন্য একজন স্থানীয় বাংলাদেশী, অপর ৫৭ জন রোহিঙ্গা। যেখানে ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩ জন শিশু রয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানিয়েছেন, মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতিয়ারঘোনা সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পূর্ব পাশ থেকে মানবপাচারকারি চক্রের হোতা ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান ইয়াছিন সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে, পাচারের জন্য জড়ো করা ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়াদের আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবন-যাপন, অধিক বেতনে চাকুরী ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা পূর্বক ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ৩-৪ দিন ধরে জড়ো করা হয়। যেখানে যৌন নিপূড়ন সহ নানা নির্যাতনও চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এ মানবপাচারে জড়িত অনেকের নামও পাওয়া গেছে। এদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে আসামিও ভিকটিমদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।