আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

পটিয়ায় নৌকা পেলেন প্রবীণ নেতা মোতাহেরুল

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৭ | অনলাইন সংস্করণ

  পটিয়া প্রতিনিধি

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রবীণ নেতা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেলেন। বিভিন্ন বিতর্কের কারণে বাদ পড়লেন তিনবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। এ খবর রবিবার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অভিনন্দনের ঝড় বয়ে যায়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষনিকভাবে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

প্রবীণ এ নেতা পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরহুম নুরুল ইসলাম ও মরহুম রেজিয়া বেগমের পুত্র। তিনি পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পূর্বে গত ১৪ নবেম্বর পদত্যাগ করেন।

এ আসনে বর্তমান এমপি সামশুল হক চৌধুরী ছাড়াও দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাবেক মহিলা এমপি চেমন আরা বেগম তৈয়ব, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ নাছির (বিজিএমই), পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার দুইবাবের মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, মেজর জেনারেল (অবঃ) আলাউদ্দীন এমএ ওয়াদুদ বীর প্রতীক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ডক্টর জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির নোতা মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন রানা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক  এডভোকেট মো. আবদুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির নেতা সত্যজিৎ দাশ রুপু, বর্তমান এমপির এপিএস মো. হাবিবুল হক চৌধুরী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মহিউদ্দিন এমএসসি। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত যাচাই বাছাই করে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে প্রবীণ আওয়ামী লীগ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নাম চূড়ান্ত করা হয়।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়া দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনের সুচনা করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে যুবলীগের বৃহত্তর পটিয়ার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাবরনও করেন। ১৯৮৫ সালে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক ও ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসাতাল, শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারসহ অসংখ্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেন। মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মূল্যায়ন করেছেন। এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত ও দলের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি কাজ করবেন।