শেরপুরের ৩টি আসনে নৌকার মাঝি হলেন যারা
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২১ | অনলাইন সংস্করণ
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের মতো শেরপুরের ৩টি আসনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা মোতাবেক শেরপুরের ৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে অপরিবর্তিত থাকলেও একটিতে নতুন মুখ এসেছেন।
নৌকার পুরাতন মাঝিরা হলেন সংসদীয় আসন ১৪৩ শেরপুর-১ (শেরপুর সদর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি ও সংসদীয় আসন ১৪৪ শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে দলীয় মনোয়ন পেয়েছেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। আর সংসদীয় আসন ১৪৫ শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চমক দেখিয়েছেন শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম।
২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নৌকার টিকিটে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম ঘোষণার পরপরই নকলা উপজেলাসহ জেলা-উপজেলার বভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল করেছেন মনোনয়ন প্রাপ্তদের কর্মী সমর্থকরা।
শেরপুর-১ (শেরপুর সদর) আসনে হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এবার নিয়ে টানা ৬ বার নৌকার মনোনয়ন পেলেন এবং প্রতিবারই তিনি বিজয়ী হয়েছেন। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে টানা ৭ বারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। ৭ বারের মধ্যে তিনি ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কৌশলী নির্বাচন ব্যতীত প্রতিবারই বিজয়ী হয়েছেন।
আর বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল হক চাঁনসহ অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে পিছনে ফেলে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়ে জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে খরিয়াকাজীরচর ইউনিয়নে দুই দুই বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তথ্য মতে, শেরপুর জেলার ৩টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মোট ৩৮ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। যদিও ৩৮ জনের মধ্যে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. নজরুল ইসলাম-এঁর মতো অনেকে মনোনয়ন ফরম জমা করেননি।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র গ্রহন ও দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র বাছাই সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তির শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। আর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সবশেষে ৭ জানুয়ারি (রোববার) সারাদেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।