ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফেনীতে ভাগিনাকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় মামার যাবজ্জীবন

ফেনীতে ভাগিনাকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় মামার যাবজ্জীবন

নিজ ভাগিনাকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় নুর আলম (৩০) নামের ফেনীতে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিমের আদালতে মামলার আসামীর উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত নুর আলম ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট বিকাল বেলায় নেশার টাকা না পেয়ে নিজ ভাগিনা ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনসুর আলমকে (১০) বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। পরদিন স্থানীয় বোয়াইল্লা খাল পাড়ের মর্তুজার জমি থেকে শিশু মনসুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় ওই দিন স্থানীয়রা নুর আলমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে নুর আলম নিজ হাতে ভাগিনাকে খুন করার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত শেষে একমাত্র আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন এসআই আজিজ আহাম্মদ। এ মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম। রায়ে একমাত্র আসামী নুর আলমকে নিজ ভাগিনা হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডাদেশ ঘোষণা করা হয়।

আদালতের এপিপি ফরিদ আহাম্মদ হাজারী জানান, ঘটনার পর ২০১৬ সাল থেকেই আসামী জেল হাজতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নুর আলমের বিরুদ্ধে আদালত দন্ড ঘোষণা করেছেন। রায় ঘোষণাকালে আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

হত্যা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত